ড্রাগন ফলের উপকারিতা
ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : কলকাতা সহ শিলিগুড়ি ও বর্ধমানে ফলের বাজারে এখন পাওয়া যাচ্ছে ড্রাগন ফল। প্রতি কেজির দাম তিনশো থেকে সাড়ে তিনশো টাকা। আসলে প্রথাগত চাষাবাদের বাইরে ড্রাগন ফলের চাষ অত্যন্ত লাভজনক। অনাবাদি ডাঙা জমিতে অল্প জলেই এই চাষ করা যায়। থাইল্যান্ড , ফ্লোরিডা ও ভিয়েতনামে বিভিন্ন প্রজাতির ড্রাগন ফলের চাষ হয়। তবে ড্রাগন ফল মূলত আমেরিকার প্রসিদ্ধ একটি ফল যা বর্তমানে আমাদের দেশেও ক্রমশঃ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ড্রাগন ফলের গাছ এক ধরনের ক্যাকটাস জাতীয় গাছ। এই গাছের কোন পাতা নেই। ড্রাগন ফলের গাছ সাধারনত দেড় মিটার থেকে আড়াই মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে।
সেই ড্রাগন ফলের চাষ এবার পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু হয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুরে। জামালপুর ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সাহাবুদ্দিন মন্ডল নিজে উদ্যোগী হয়ে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করেছেন তাঁর ইসলামপুরের বাসভবনের অদূরে সেলিমাবাদ মৌজায়।
ড্রাগন ফলের উপকারিতা অনেকেরই অজানা। শীতকালীন ফল কমালেবুর থেকেও এর উপকারিতা অনেক বেশি। ড্রাগন ফলের মধ্যে রয়েছে অনেক স্বাস্থ্যকর উপাদান। একটি ড্রাগন ফলে ৬০ ক্যালোরি শক্তি এবং প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি, ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৯ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। ড্রাগন ফলের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে প্রদাহনাশক উপাদান রয়েছে। এ কারণে এই ফল খেলে হার্টের রোগের ঝুঁকি ও জয়েন্টের ব্যথা কমে যায়।
এই ফলে বিটাক্যারোটিন ও লাইকোপিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও রয়েছে। বিটাক্যারোটিন শরীরে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়ে ত্বক, চোখ ও ইমিউন সিস্টেমের উন্নতি করে। ড্রাগন ফলের বীজ হার্টের জন্য উপকারী। ড্রাগন ফল খেলে বিষণ্নতাও কমতে পারে। অন্যান্য ফলের চেয়ে ড্রাগন ফলে ম্যাগনেসিয়াম বেশি থাকে। এই ফলের উপাদান হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে ও অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করে। অস্টিওপোরোসিসে হাড় এতই দুর্বল হয়ে যায় যে সহজেই ভেঙে যেতে পারে। পটাশিয়ামের ভালো উৎস হল ড্রাগন ফল। এই ফলে প্রচুর পরিমাণে প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান থাকে। বিশেষ করে হাড়ের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়ামের উল্লেখযোগ্য উৎস হল ড্রাগন ফল। ভালো পাকা ড্রাগন ফলের মিষ্টতাই অন্যরকম।