চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

কাল্লা প্রভু ছট ঘাটে দেখা গেল অপরূপ দৃশ্য, কৃষ্ণ প্রসাদের প্রচেষ্টা সার্থক


 

কাল্লা প্রভু ছট ঘাটে দেখা গেল অপরূপ দৃশ্য, কৃষ্ণ প্রসাদের প্রচেষ্টা সার্থক 


কাজল মিত্র, আসানসোল : বিগত ৪৩ বছরের মতো এবারও আসানসোলের কাল্লা এলাকায় অবস্থিত প্রভু ছট ঘাটে আসানসোলের বিশিষ্ট সমাজকর্মী কৃষ্ণ প্রসাদের পৃষ্ঠপোষকতায় ছট পূজার একটি দুর্দান্ত উদযাপনের আয়োজন করা হয়েছে।  জানা যায়, সম্প্রতি দেবভূমি উত্তরাখণ্ডে গিয়েছিলেন কৃষ্ণ প্রসাদ।  সেখান থেকে তিনি এই সমগ্র এলাকাকে পবিত্র করার জন্য বোতলে ভরে হাজার হাজার লিটার গঙ্গাজল নিয়ে আসেন। তিনি সেখান থেকে আনা পবিত্র গঙ্গার জল সহ  প্রভু ছট ঘাটে আগত প্রতিটি ছট ব্রতীকে শাড়ী ,গামছা,কম্বল তুলসী চারা ও পূজা সামগ্রী প্রদান করেন। আসানসোলে সাম্প্রতিক বন্যার পর, কৃষ্ণপ্রসাদ অসম্ভবকে সম্ভব করে নদীর দুই পাড়ের ঘাট মেরামতের কাজ হাতে নেন।  ছটব্রতীরা নদীতে পৌঁছানোর জন্য সিঁড়ি তৈরি করা হয়েছিল, আজ ছটব্রতীরা সারা শিল্পাঞ্চল থেকে এসে এই সিঁড়ি দিয়ে নদীতে পৌঁছে অস্তমান সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদন করে।

 কৃষ্ণ প্রসাদ করোনার সময় পুরো ঘাটকে স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থাও করেছিলেন। দুই শতাধিক সিসি ক্যামেরা ভক্তদের মনিটরিং করেছে। অস্তগামী সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদনের পর কাশী থেকে আগত পণ্ডিতরা বারাণসীর গঙ্গা ঘাটের আদলে আরতি করেন। বৃহস্পতিবার সকালেও উদীয়মান সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদনের পর অনুরূপ আরতি করা হবে। সন্ধ্যায় অর্ঘ্য নিবেদনের পর গঙ্গা আরতির অলৌকিক দৃশ্য ভগবানের ছট ঘাটে অবতীর্ণ হয়।  ভগবান ছট ঘাটে আসা ছত্রবতীরা ভগবান ছট ঘাটের পুনরুজ্জীবনের জন্য প্রকাশ্যে কৃষ্ণ প্রাসাদের প্রশংসা করেন। সমাজের সর্বস্তরের অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও এই মনোরম দৃশ্য গ্রহণ করতে সেখানে এসে পৌঁছেছেন।

  এর মধ্যে প্রধান অতিথি  আসানসোল উত্তরের বিধায়ক এবং রাজ্যের আইন ও গণপূর্ত মন্ত্রী মলয় ঘটক, রানিগঞ্জের প্রাক্তন বিধায়ক সোহরাব আলি, রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ সৌমামানন্দজী মহারাজ, আসানসোল পৌর কর্পোরেশনের প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান অমরনাথ চ্যাটার্জি সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।