চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

স্বামী দেবানন্দ আশ্রমে প্রথম বর্ষ জগদ্ধাত্রী পুজোর আয়োজনে ভক্তরা আপ্লুত


 

স্বামী দেবানন্দ আশ্রমে প্রথম বর্ষ জগদ্ধাত্রী পুজোর আয়োজনে ভক্তরা আপ্লুত 


জগন্নাথ ভৌমিক, বর্ধমান : সমাজসেবার অঙ্গনে স্বামী দেবানন্দ আশ্রম একটি অতি পরিচিত নাম। অসহায়-দুস্থজনে অন্নদান থেকে শুরু করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য সব ক্ষেত্রেই আশ্রমের কর্ম পরিধি বিস্তৃত। দেশে-বিদেশে আশ্রমের ভক্তসংখ্যা কয়েক কোটি। বর্ধমান শহরের অদূরে নাদরা গ্রামে আশ্রমের মূল কেন্দ্র ছাড়াও শহর বর্ধমানের নিবেদিতা পল্লীতে রয়েছে স্বামী দেবানন্দ আশ্রম এর আরও একটি শাখা। এবছরই প্রথম নিবেদিতা পল্লীর স্বামী দেবানন্দ আশ্রমে আয়োজিত হয়েছে জগদ্ধাত্রী পুজো। স্বয়ং স্বামী দেবানন্দ মহারাজের ইচ্ছাতেই জগজ্জননীর আরাধনার আয়োজন করা হয়েছে। 

স্বামী দেবানন্দ মহারাজ জানান, কোভিড অতিমারি পরিস্থিতিতে সকলেই গৃহবন্দী থাকতে থাকতে বিমর্ষ হয়ে পড়েছিল। হাসি-খুশি, আনন্দ  সব যেন মানুষের মন থেকে হারিয়ে গিয়েছিল। মানুষের হৃদয়ে, মনে আনন্দ না থাকলে সেবামূলক কাজেও মন এগোবে না। তাই জগজ্জননী জগদ্ধাত্রী পুজোর আয়োজনে সকলকে আনন্দযজ্ঞে সামিল করাই উদ্দেশ্য। আর জগজ্জননীর আঙিনায় উপস্থিত হলে কেউ অভুক্ত অবস্থায় ফিরে যাবেন না। জগদ্ধাত্রী মাতার আশির্বাদে এই আনন্দই সকলের মধ্যে অফুরান প্রাণশক্তির সঞ্চার করবে। সার্থক হবে পুজোর আয়োজন।

স্বামী দেবানন্দ আশ্রমের একনিষ্ঠ সেবক জয়ন্ত মুখার্জী বলেন, আশ্রমের মূল উদ্দেশ্যই হলো আধ্যাত্মিক ভাবধারায় সেবামূলক কাজে ব্রতি হওয়া। অসহায় দুস্থজনে অন্ন প্রদান হলো গুরু মহারাজের বিশেষ কর্মসূচি। এই কর্মসূচিতে প্রতিদিন বহু অসহায় মানুষের কাছে আশ্রমের পক্ষ থেকে মিড-ডে মিল পৌঁছে দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি রয়েছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা পরিষেবা। রয়েছে সাংস্কৃতিক নানা বিষয়ে শিক্ষা দান। সামাজিক, মানবিক বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে সুন্দর হৃদয়ের মানুষ গড়ে তোলাই হচ্ছে স্বামী দেবানন্দ মহারাজের মূল মন্ত্র। জগদ্ধাত্রী পুজোতেও রয়েছে ছোট থেকে বড় অসহায় ও দুঃস্থ মানুষদের বস্ত্রদান কর্মসূচি। ষষ্ঠী থেকে দশমী প্রতিদিন ১০০০ জনের হাতে নতুন বস্ত্র তুলে দেওয়া হচ্ছে।

স্বামী দেবানন্দ আশ্রমের মাতৃ সংঘের সদস্যরাও নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছে। পুজোর উপাচার সাজানো থেকে শুরু করে ভোগ প্রসাদ পরিবেশনের কাজ হাসি মুখে করছেন তাঁরা। মাতৃ সংঘের সদস্য টুম্পা হালদার, রুবাই রেজ বসু, সঙ্গিতা গোয়েঙ্কা সহ অন্যান্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্বামী দেবানন্দ আশ্রম সমাজে পিছিয়ে থাকা মহিলা সহ সাধারণের উন্নয়নে ধারাবাহিক ভাবে কাজ করে চলেছে। তাদের মতে জগদ্ধাত্রী পুজোর আয়োজনে আশ্রমের সেবামূলক কাজের আরও পরিধি বিস্তৃত হবে।

আসলে মানুষ একটু ভক্তিরসে পূর্ণ আনন্দের খোরাক খুঁজছিল। আশ্রমে জগদ্ধাত্রী পুজোর আয়োজনে বহু সংখ্যক ভক্তের উপস্থিতি অন্তত সেটাই তুলে ধরছে। আর সামগ্রিক আয়োজন হয়েছে কোভিড স্বাস্থ্য বিধি মেনে।