চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

নাড়া পোড়ানো প্রতিরোধ দিবস পালন


 

নাড়া পোড়ানো প্রতিরোধ দিবস পালন 


অতনু হাজরা, জামালপুর ও গৌতম দাস, বন্ডুল :       ৩ নভেম্বর ফসল অবশিষ্টাংশ পোড়ানো প্রতিরোধ দিবস। সেই ফসল অবশিষ্টাংশ পোড়ানো প্রতিরোধ দিবস পালন করলো জামালপুর ব্লক কৃষি অধিকর্তাকরণ। বুধবার তাঁরা জামালপুর ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত ও জৌগ্রামে দুটি সেমিনারের আয়োজন করেন যেখানে ৪০ জন করে কৃষককে ডাকা হয়। 

সাধারণত গ্রামবাংলায় দেখা যায় ধান উঠে আলু বসাবার আগে ধান কাটার পর ধান গাছের অবশিষ্ট গোড়া গুলো গ্রামের মানুষ আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়। যাকে গ্রামবাংলায় নাড়া পোড়ানো বলা হয়। এই নাড়া পোড়ানোর ফলে পরিবেশ মারাত্মক ভাবে দূষিত হয় ও মাটির গুনাগুন কমে যায়। সেই উপলক্ষ্যেই গ্রামের চাষিদের সচেতন করার জন্য পঞ্চায়েতের মিটিং হলে এলাকার কৃষকদের নিয়ে একটি আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়।

 যেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলার দুজন যুগ্ম কৃষি অধিকর্তা অম্লান সরকার ও সুকান্ত মুখার্জী, ব্লক কৃষি আধিকারিক সঞ্জীবুল ইসলাম, জামালপুর ১ নং পঞ্চায়েতের উপ প্রধান সাহাবুদ্দিন মন্ডল সহ অন্যান্যরা। সাহাবুদ্দিন মন্ডল(পাঞ্জাব) বলেন,  কৃষকদের ডেকে নাড়া পোড়ানোর ক্ষতিকারক দিকগুলি আলোচনা করা হলো।

 ব্লক কৃষি অধিকর্তা সঞ্জীবুল ইসলাম বলেন, কৃষকদের ডেকে এটা বোঝানো হলো যে ধান কাটার পর ধান গাছের গোড়া যেগুলো অবশিষ্ট থাকে যেগুলো গ্রাম্য ভাষায় নাড়া বলা হয় সেগুলো পুড়িয়ে দিলে ব্যাপক ভাবে বায়ু দূষণ হবে। বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইডের মতো বিষাক্ত গ্যাস বাতাসে মিশে দূষণ বাড়িয়ে তোলে, এছাড়াও মাটিতে যে সমস্ত উপকারী ব্যাকটেরিয়া বা অন্যান্য জিনিস থাকে সেগুলোও নষ্ট হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে ক্ষতি হবে কৃষকদেরই। সেই বিষয়েই আজকের এই সেমিনার গুলোতে আলোচনা করা হয়। 

অন্যদিকে ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো প্রতিরোধ দিবস পালিত হলো বর্ধমান ১ নম্বর ব্লকের বন্ডুল ১ অঞ্চলের ভান্ডারডিহিতে। খড়ের অবশিষ্ট অংশ পোড়ানো ক্ষতিকর। খড় পোড়ানো বন্ধ রাখুন ও নাড়া পোড়ানো বন্ধ করুন। এই বার্তা দিলেন কৃষি অধিকর্তাকরণের তরফে এ ডি এ সব‍্যসাচী দাস। এদিন বণ্ডল ১ অঞ্চলের ভাণ্ডারডিহিতে প্রায় ১০০ জন কৃষকে নিয়ে  সচেতনতা প্রচার সভা করা হয়। বর্ধমান ১ এর কৃষি কর্মাধ্যক্ষ সেখ চাদু জানান, নাড়া পোড়ানো  ক্ষতিকর এবং এরফলে পরিবেশ দূষণ হয়। এদিনের সভায় চাষীদের জানানো হয় কিষাণ মাণ্ডিতে কি ভাবে ধান বিক্রি করা হবে।  উপস্থিত ছিলেন বন্ডুল ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান সহ এলাকার চাষিরা।