ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : ১৯ নভেম্বর গুরু নানকের জন্মদিনের সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন । এরপরেই বিরোধী দলগুলি প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সরব হয়ে ওঠে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার মধ্যে কৃষক আন্দোলনের জয়কেই দেখতে পেয়েছেন । তিনি আন্দোলনকারী কৃষকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
শুক্রবার সকালে টুইটারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘বিজেপি কৃষকদের প্রতি নৃশংস। কিন্তু তার বিরুদ্ধে যে সমস্ত কৃষক নিরন্তর লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন তাঁদের প্রত্যেককে আমার হার্দিক অভিনন্দন। এটা আপনাদের জয়। এই লড়াইয়ে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা।’
নরেন্দ্র মোদী তিন কৃষি আইন আইন প্রত্যাহারের বিষয়টি ঘোষণা করতেই বিজেপি কটাক্ষ করেছেন বর্ষিয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর মতে, এই আইন প্রত্যাহার আসলে দেশের গণতন্ত্রের জয়। তিনি বলেছেন, ‘‘দিল্লি সীমানায় গত বছর থেকে আন্দেলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। বিজেপি সেই আন্দোলন ভাঙার অনেক চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পারে নি। এটাই গণতান্ত্রিক শক্তি।’’ এর পরেই বিজেপি'র উদ্দেশে কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘‘সামনে পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন রয়েছে। নির্বাচনে ভরাডুবির ভয়েই বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার করলেন মোদী।"
ভারতের ইতিহাসে এই কৃষক আন্দোলন একটা মাইলস্টোন হিসাবে চিহ্নিত হবে। কৃষকদের সম্মিলিত আন্দোলনের চাপে শেষ পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদী সরকার মাথানত করে তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হলেন । এটা গণতন্ত্রের জয়।
এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই কৃষি আইন প্রত্যাহার নিয়েই একাধিক টুইট করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। প্রথম টুইটেই তিনি লিখেছেন, ‘অহংকারের হার। অহঙ্কারের হার, অতিরিক্ত গর্ব থেকে ভূপতিত।’
এদিকে তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করতেই বিরোধী দলের নেতা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী এই ঘোষণাকে অহংকারের পতন বলে মনে করছেন। তিনি টুইটারে কৃষি আইন প্রত্যাহার প্রসঙ্গে হিন্দিতে লিখেছেন, ‘দেশের অন্নদাতাদের সত্যাগ্রহ অহঙ্কারের মাথা নত করে দিয়েছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে জয়কে অভিনন্দন। জয় হিন্দ। জয় হিন্দের কৃষক।’
Image by courtesy : DD News