Scrooling

ষষ্ঠ সিন্ধু জিব্রাল্টার জয় করে ইতিহাসের পাতায় সায়নী # বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় # সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ২৫ হাজার ৭৫২ জন শিক্ষকের চাকরি গেল # আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বিজয়ী ভারত, নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে তৃতীয় বারের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হল ভারত # প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রীর শোকজ্ঞাপন # বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভার সাংসদ হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় # 'দাদাসাহেব ফালকে' সম্মানে ভূষিত হলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী

অসময়ে নিম্নচাপের বৃষ্টি, আশঙ্কায় ধানচাষীরা


 

অসময়ে নিম্নচাপের বৃষ্টি, আশঙ্কায় ধানচাষীরা 


অতনু হাজরা, জামালপুর : আবহাওয়ার পূর্বাভাস ছিল সেই মোতাবেক বিচ্ছিন্নভাবে শুরু হয়েছে হালকা ঝিরঝিরে বৃষ্টি। আর এই বৃষ্টিতেই মাথায় হাত চাষীদের। চিন্তায় পড়েছেন আমন ধান চাষীরা। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরেও ধান চাষিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। কারণ এখনো বেশিরভাগ ধান তোলাই হয়নি মাঠ থেকে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী আজ ও কাল দুদিন হতে পারে বৃষ্টি। আর সেটাই চিন্তার কারণ। বৃষ্টি বেশি হলে যদি জমিতে জল জমে যায় তাহলে মাঠে কেটে রাখা ধানে কল হয়ে যাবে বা পাকা ধানে প্রচুর ক্ষতি হবে।

 জামালপুরের সম্ভ্রান্তচাষী বিশ্বনাথ দাস। যাঁর বিঘা ২৫ ধান চাষ আছে ও অনুপ ঘোষ যাদের বিঘা ১৫ ধান চাষ আছে তাঁরা ছাড়াও অন্যান্য চাষীরাও শঙ্কিত হয়ে আছেন। তাঁরা বলছেন বৃষ্টি যদি বেশি হয় তাহলে ধানের সমূহ ক্ষতি হবার সম্ভবনা। 

জামালপুরের ব্লক কৃষি আধিকারিক সঞ্জীবুল ইসলাম তাঁর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান জামালপুরে এই মরশুমে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। তাঁর কাছে যা খবর আছে আর মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ধান ইতিমধ্যেই চাষিরা কেটে নিয়ে ফসল তুলে নিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, আবহাওয়ার পূর্বাভাস আগেই ছিল সেই মোতাবেক অনেক চাষীই ধান কেটে নিয়েছেন। যাঁরা এখনো ধান কাটেননি তাঁদের ধান দ্রুত কেটে নেওয়ার পরামর্শ দেন।

 তিনি জানান যে তিনি নিজে ব্লক কৃষি অফিসে উপস্থিত আছেন এবং পুরো বিষয়টা দেখছেন। এখনো পর্যন্ত যেটুকু বৃষ্টি হয়েছে তাতে ধানের কিছুই ক্ষতি হবেনা। একমাত্র প্রবল বর্ষণে মাঠে জল দাঁড়িয়ে গেলে ক্ষতির সম্ভবনা তৈরি হতে পারে। তাই তিনি কৃষকদের দ্রুত ধান কেটে নেওয়ার পরামর্শ দেন। এসব সত্ত্বেও চাষিদের মন থেকে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারেই যাচ্ছে না।