চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

নাড়া পোড়ানো রুখতে কৃষিদপ্তরের অভিনব ব্যবস্থা


 

নাড়া পোড়ানো রুখতে কৃষিদপ্তরের অভিনব ব্যবস্থা 


অতনু হাজরা, জামালপুর : মাঠ থেকে  ধান উঠতে শুরু করেছে। এরপর ওই জমিতেই বসানো হবে আলু। কিন্তু গ্রামবাংলার মাঠগুলিতে যেটা সবচেয়ে বড় সমস্যা তা হলো চাষিরা ধান কাটার পর ধান গাছের অবশিষ্টাংশ থাকে যাকে মেঠো বাংলায় বলা হয় নাড়া। সেগুলি চাষিরা আলু বসাবার আগেই জমিতেই পুড়িয়ে দিচ্ছেন, যাকে নাড়া পোড়ানো বলা হয়। এই নাড়া পোড়ানোর ফলে পরিবেশ দূষণ ব্যাপক ভাবে হচ্ছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাপক ভাবে নাড়া পোড়ানোর বিরুদ্ধে প্রচার করা হচ্ছে। জেলা এবং ব্লক কৃষি অধিকর্তাকরণের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন জায়গায় হোর্ডিং, মাইকিং ও কৃষকদের নিয়ে বৈঠকের  মাধ্যমে প্রচার করে মানুষদের সচেতন করা হচ্ছে। এই সচেতনতার একটি ধাপ হিসাবে শুক্রবার জামালপুর ব্লক কৃষি অধিকর্তাকরণের পক্ষ থেকে  জোতশ্রীরাম অঞ্চলে চাষিদের নিয়ে মাঠের মধ্যেই এই নাড়া না পুড়িয়ে কিভাবে যন্ত্রের সাহায্যে তা মাটিতেই মিশিয়ে দেওয়া যায় সেটা হতে কলমে চাষিদের দেখালেন ব্লক কৃষি অধিকর্তাকরণের অফিসার বিটিএম পল্লব কুমার দাস ও এটিএম অলোক সাঁতরা ও একজন প্রোগ্রেসিভ চাষী বিপ্লব সাঁতরা। 

ব্লক কৃষি আধিকারিক সঞ্জীবুল ইসলাম জানান,  গত ২০২০-২১ অর্থ বর্ষে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কাস্টম হায়ারিং সেন্টার যেটা দেওয়া হয়েছিল সুশান্ত সাঁতরাকে। সেখান থেকেই যন্ত্র নিয়ে গিয়ে হাতে কলমে চাষিদের দেখানো হয় ধান কাটার পর কুটি বা নাড়া পড়ে থাকলে সেটা না পুড়িয়ে কিভাবে ব্যবস্থা করা যায়। এই পদ্ধতিটির নাম প্যাডি স্ট্র ম্যানেজমেন্ট। এই প্যাডি মালচার যন্ত্রের সাহায্যে ওই খড় বা কুটি গুলিকে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়। যাতে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পাবে এবং পরিবেশ দূষণও কমবে। কৃষি দপ্তরের উদ্যোগে এই ধরণের হাতে কলমে চাষীদের শিক্ষা দেওয়ায় নাড়া পোড়ানোর প্রবণতা কমবে বলেই মনে করা হচ্ছে।