চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

হাতির তান্ডবে গলসি, আউসগ্রাম এলাকায় কয়েক হাজার বিঘা জমির ফসলের ক্ষতি


 

হাতির তান্ডবে গলসি, আউসগ্রাম এলাকায় কয়েক হাজার বিঘা জমির ফসলের ক্ষতি


ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : পূর্ব বর্ধমান জেলার গলসি ও আউশগ্রাম এলাকায় বুনো হাতির পালের তাণ্ডবে কয়েক হাজার বিঘা জমিতে ধানের ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার  সকালের দিকে বাঁকুড়া জঙ্গল থেকে দামোদর নদ পেরিয়ে হাতির পাল পূর্ব বর্ধমান জেলার গলসি এলাকায় ঢুকে পড়ে। যার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা গলসি এলাকায়। হাতির তান্ডবে পালাতে গিয়ে গলসির শিড়রাই গ্রামে একজন গুরুতর জখম হয়েছেন। হাতির দল দেখতে স্থানীয় মানুষজন ভিড় জমায় খবর পেয়ে ভোর থেকে হাজির গলসি ও আউশগ্রাম থানার পুলিশ। পাশাপাশি হাতির গতিবিধি উপর নজর রেখে চলেছেন বনদপ্তরের কর্মীরা। স্থানীয় মানুষজন জানায়, এদিন কাকভোরে গলসির সিংপুরে ওই হাতির পালটিকে প্রথম দেখতে পায় তারা। তাদের দাবী এলাকার বিঘার পর বিঘা পাকা ধান মাড়িয়ে দিয়ে তাদের ক্ষতির মুখে ফেলে দিয়েছে হাতির পাল। তারা জানান সকালের দিকে দলটি বাঁকুড়া জঙ্গল থেকে দামোদর নদ পেরিয়ে গলসির কাশীপুর, শিল্লা হয়ে শিড়রাই চলে আসে। তারপর ভোর নাগাদ পোতনা হয়ে সিংপুরের মাঠে চলে আসে। তখনই নজরে আসে সাধারণ মানুষের। তারপর গলিগ্রাম, বনসুজাপুর, উচ্চগ্রাম, কুতরুকী হয়ে খড়ি নদী পেরিয়ে আউসগ্রামের দিকে চলে যায়।

 গলসির পর আউশগ্রামের নওয়াদা ও বিল্বগ্রামের মাঠে হাতির পালটি যায়। এই এলাকাতেও প্রচুর ধানের জমির ক্ষতি হয়েছে। খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছে যান বনকর্মীরা। নওয়াদা গ্রামে উপস্থিত ছিলেন জেলা বনাধিকারিক নিশা গোস্বামী। বনকর্মীরা এলাকায় মাইকিং করে স্থানীয় মানুষজনকে সর্তক করে।এখানেই স্থানীয় মানুষজনের বিক্ষোভের মুখে পড়েন বনকর্মীরা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ ছিল,  হাতি তাড়াতে গিয়ে বিঘের পর বিঘে ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।এরপর গ্রামবাসীদের বোঝানোর কাজ শুরু করেন বনদপ্তরের কর্মীরা ও পুলিশ । অতিরিক্ত বনাধিকারিক সারথী সাহা জানান, গ্রামবাসীরা নষ্ট হয়ে যাওয়া ধানের ক্ষতিপূরণ পাবেন।

শেষ পর্যন্ত বনকর্মী ও হুলাপার্টির চেষ্টায় হাতির পালের মুখ গলসীর অভিমুখে ফিরিয়ে দেওয়া গেছে। হাতির পালকে ধীরে ধীরে গলসীর দিক থেকে দামোদর পার করিয়ে ফিরিয়ে দিতে পারা যাবে বলেই মনে করছেন বনদপ্তরের কর্মীরা। তাহলে তাদের চলে আসার পথেই ফেরত পাঠানো সম্ভব হতে পারে। পটকা ফাটিয়ে হাতিদের ওড়গ্রামের পথ ধরে ভাতারের দিকে যাওয়া আটকানো সম্ভব হয়েছে। তা না হলে আরো বেশি ক্ষয়ক্ষতি ও বিপদের সম্ভাবনা ছিল।

বনাধিকারিক নিশা গোস্বামী বলেন, আমরা চেষ্টা করছি হাতিরপালকে বাঁকুড়ার জঙ্গলে ফেরত পাঠাতে।