চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

গ্রামে গ্রামে দুয়ারে ভ্যাকসিন কর্মসূচি


 

গ্রামে গ্রামে দুয়ারে ভ্যাকসিন কর্মসূচি 


অতনু হাজরা, জামালপুর : এক বিরল দৃশ্য,  একদিকে বৃদ্ধ অসমর্থ মানুষকে করোনার টিকা দিচ্ছেন এক এ এন এম দিদিমণি আর অন্যদিকে সেই ব্যক্তির হাত ধরে আছেন জামালপুর ১ পঞ্চায়েতের উপ প্রধান সাহাবুদ্দিন মন্ডল। আসলে দুয়ারে ভ্যাকসিন চলছে জামালপুর ব্লকে। আর সেই কর্মসূচিতে চোখে পড়লো এই দৃশ্য। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে আজ থেকে শুরু হয়েছে মোবাইল ভ্যানে করে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, শারীরিক ভাবে অসমর্থ, অসুস্থ এমন মানুষদের বাড়িতে গিয়ে তাদের করোনার টিকা দেওয়ার কাজ। শনিবার জামালপুর ১ নং পঞ্চায়েত থেকে সেই কাজ শুরু হলো। জামালপুরে ১ নং পঞ্চায়েতের জেলে পাড়ায়, কৃষ্ণচন্দ্রপুর ও বেত্রাগড় গ্রামে একাধিক মানুষকে করোনার টিকা প্রদান করা হয়। এই টিকা দানে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর ১ নং পঞ্চায়েতের উপ প্রধান সাহাবুদ্দিন মন্ডল ওরফে পাঞ্জাব। তিনি নিজে প্রত্যেকের বাড়ি বাড়ি গেছেন এবং প্রয়োজনে নার্স দিদিমনিদের সাহায্য করেছেন টিকা দেবার কাজে। সাহাবুদ্দিন মন্ডল জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সরকারি সমস্ত পরিষেবা মানুষের দুয়ারে গিয়ে পৌঁছে দিচ্ছেন। এই কোভিড টিকাও তার ব্যতিক্রম নয়। যে সমস্ত মানুষের অনেক বয়স হয়ে গেছে যাঁরা কোনোমতেই টিকা নিতে দূরে বা অন্য কোথাও যেতে পারবেন না তাদের জন্য বা যারা অসুস্থ বা অন্য কোনো অসুবিধা আছে তাদের জন্য দুয়ারে ভ্যাকসিন পরিষেবা দেওয়া শুরু হলো এবং ব্লকের জামালপুর ১ পঞ্চায়েত থেকেই তা শুরু হলো আজ। 


এবিষয়ে তাঁকে সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক ও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক যথেষ্ট সাহায্য করেছেন বলে জানান। বিএমওএইচ ডাঃ ঋত্বিক কুমার ঘোষ জানান, ব্লকে ১০০ শতাংশ টিকা দেবার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন জেলাশাসক ও জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক। সেই জন্যই ব্লকে করোনা টিকার জন্য মোবাইল ভ্যান পরিষেবা চালু করা হয়েছে। আজ তা শুরু হয়েছে। বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার জানান, ডিএম ম্যাডাম ও জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের নির্দেশ মত আজ থেকে শুরু হয়েছে এই মোবাইল ভ্যানের মাধ্যমে করোনা টিকাকরণ। আজ জামালপুর ১ নং ও ২ নং পঞ্চায়েত, পাড়াতল ১নং পঞ্চায়েতে এই দুয়ারে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। 

তিনি আরো জানান সরকারি যেকোনো প্রকল্প রূপায়ণে জনপ্রতিনিধিদের অবশ্যই প্রয়োজন হয়। তাঁরা এগিয়ে এলে যেকোনো কাজ সুচারু ভাবে সম্পন্ন হয়। এপ্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বিশেষ ভাবে সাহাবুদ্দিন বাবুর কথা বলেন। তিনি সর্বদা যেকোন সরকারি প্রকল্প দায়িত্ব নিয়ে নিজের পঞ্চায়েতে করানোর চেষ্টা করেন। বাড়ি বাড়ি এসে করোনা টিকা দিয়ে যাওয়ায় খুশি এলাকার বয়স্ক মানুষরা। তাঁরা রাজ্য সরকারের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।