চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

ফেসবুক থেকে "মেটা" রহস্যটা কি ?  কৌতুহলী বিশ্ববাসী


 

ফেসবুক থেকে "মেটা" রহস্যটা কি ?  কৌতুহলী বিশ্ববাসী 


ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : ফেসবুক নিজেদের কোম্পানির কর্পোরেট নাম পরিবর্তন করে “মেটা” রেখেছে। আর এই নিয়েই এখন বিশ্ববাসীর কৌতুহল তুঙ্গে। ফেসবুকের মতো জনপ্রিয় নাম পরিবর্তনের রহস্যটা কি ? এই নাম পরিবর্তনের নেপথ্যে জনগণের ডাটা সুরক্ষিত থাকবে তো? নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে।  ফেসবুক সিইও মার্ক জুকারবার্গ ২৮ অক্টোবর এক অনলাইন ইভেন্টে জানিয়েছেন, এখন থেকে মেটা প্ল্যাটফর্মস ইনকর্পোরেটেড এর অধীনে চলে আসবে ফেসবুক এর সমস্ত প্রোডাক্ট। জনগণ এই প্যারেন্ট কোম্পানিকে সংক্ষেপে মেটা (Meta) নামেই চিনবে। আসলে জুকারবার্গ ও তার টিম একাধিক ভার্চুয়াল রিয়েলিটিকে একত্রিত করে কিভাবে মেটাভার্স প্রতিষ্ঠা করা যায়, তার চেষ্টায় রয়েছেন। ফেসবুকের এই নতুন নামকরণের পেছনে মূল কারণ হলো সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সাইটটিকে ভবিষ্যতের উপযোগী করে তোলা।

এখন জানা দরকার মেটাভার্স কি ? সহজ কথায়য় বলতে গেলে ইন্টারনেট এর থ্রি ডি ভার্সনকে বলা হচ্ছে মেটাভার্স। মার্ক জুকারবার্গ এর কথা অনুযায়ী স্ক্রিনে দেখার পরিবর্তে ভার্চুয়াল পরিবেশে সরাসরি প্রবেশের সুযোগ প্রদান করবে এই মেটাভার্স। যার ফলে বাস্তব জীবন ও ভার্চুয়াল লাইফের মধ্যে কোনো তফাৎ থাকবে না। জেনে রাখা ভালো নিল স্টিফেনসন তার উপন্যাস, “Snow Crash” এ ১৯৯২ সালে প্রথম "মেটাভার্স” শব্দটি ব্যবহার করেন। তবে ফেসবুক এর পাশাপাশি মেটাভার্স নিয়ে কাজ করছে মাইক্রোসফট ও চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া। 

Banglatech24.com(বাংলাটেক টোয়েন্টিফোর ডটকম) তাদের সাইটে লিখেছে,  ফেসবুক মেটাভার্স এর ফিচারসমুহ ফেসবুক এর পরিকল্পিত মেটাভার্স এর মাধ্যমে একাধিক সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যাবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক মেটাভার্স এর মাধ্যম কি কি করা সম্ভব হবে। 

হরাইজন হোম

হরাইজন হোম হলো একটি ভার্চুয়াল ঘরের মত, যেখানে মেটাভার্স এর অন্যান্য ব্যবহারকারীগণ বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানাতে পারবেন, একসাথে আড্ডা দিতে পারবেন, ভিডিও দেখতে পারবেন ও একই সাথে গেম খেলতে পারবেন। 

ফিটনেস

ইতিমধ্যে অনেকেই ভিআর ব্যবহার করে এক্সারসাইজ করে থাকেন। আগামী বছর নতুন একসেসরিজ আনবে ফেসবুক এর প্যারেন্ট কোম্পানি মেটা, যার মাধ্যমে ভার্চুয়ালি ফিটনেস বজায় রাখা আরো সহজ হবে। 

ভার্চুয়াল ওয়ার্কপ্লেস 

ভিআর ব্যবহার করে ভার্চুয়াল ওয়ার্কপ্লেসের কথা আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি। মেটাভার্স ওয়ার্কপ্লেসে ফেসবুক একাউন্ট ছাড়াই আলাদা প্রফেশনাল একাউন্ট দিয়ে লগিন করা যাবে। যারা ওয়ার্ক ফ্রম হোম কাজ করেন তারা তাদের মেটাভার্স ওয়ার্কপ্লেসে ভার্চুয়ালি উপস্থিত হয়ে কাজ করতে পারবেন। 

গেমিং

মেটাভার্স এর বিশাল একটি অংশ হতে যাচ্ছে গেমিং। কানেক্ট কি নোট এর সময় ফেসবুক এর গেমিং প্ল্যাটফর্ম, কুয়েস্ট এ বিট সেভার গেমটি ১০০ মিলিয়ন ডলার আয়ের কথা জানান মার্ক জুকারবার্গ। এছাড়াও কুয়েস্ট এর আপকামিং ভার্সনে রকস্টার গেমস এর জনপ্রিয় গেম, জিটিএ স্যানএন্ড্রিয়েস আসতে যাচ্ছে। 

ভিআর মেসেঞ্জার কল 

মেসেঞ্জার অ্যাপে বেশকিছুদিন আগেই ভিআর সাপোর্ট এর ঘোষণা করেছিল ফেসবুক। হেডসেট ব্যবহার করে বন্ধুদের কুইক মেসেজ পাঠানো যাবে। এছাড়াও ভিআর এর মাধ্যমে মেসেঞ্জার অডিও কল আসতে যাচ্ছে খুব শীঘ্রই। সাপোর্টেড প্ল্যাটফর্মগুলোতে একই সাথে ভিআর হেডসেট ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় যেতে পারবেন ব্যবহারকারীগণ। 

এই মেটাভার্স ধারণা নিয়ে বেশ আশাবাদি ফেসবুক এর প্যারেন্ট কোম্পানি, মেটা। এখন দেখার বিষয়  নিজেদের লক্ষ্যে তারা সফল হতে পারে কি না। 


   By courtesy : Banglatech24.com & BBC.Com