চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

সৃষ্টিশ্রী শারদীয়া উৎসব শুরু টাউন হল প্রাঙ্গণে


 

সৃষ্টিশ্রী শারদীয়া উৎসব শুরু টাউন হল প্রাঙ্গণে


ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : গ্রাম বাংলার হস্তশিল্পীদের সৃষ্টি কে সম্মান দিতে উদ্যোগী হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরই অনুপ্রেরণায় শারদ উৎসবের প্রাক্কালে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর পণ্য সামগ্রী প্রদর্শন ও বিপণনের সুযোগ করে দিতে বর্ধমান টাউন হল প্রাঙ্গণে শুরু হলো 'সৃষ্টিশ্রী শারদীয়া উৎসব'। শুক্রবার বিকেলে উৎসবের উদ্বোধন করেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্ব-নিযুক্তি বিভাগের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।

 উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও সিদ্দকুল্লাহ চৌধুরী, অতিরিক্ত মুখ্য সচিব এম ভি রাও, ডব্লুবিএনআরএলএম দপ্তরের নির্বাহী আধিকারিক সুমিতা পান্ডে, পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা, পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন, অতিরিক্ত জেলা শাসক কাজল রায়, মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এর সহধর্মিণী তথা বিশিষ্ট সাংবাদিক ছন্দবানী মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক অলক কুমার মাঝি, জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক কুশল চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সংযোজনায় ছিলেন বাচিক শিল্পী অনির্বাণ বিশ্বাস।

জেলা শাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতে হস্তশিল্পীরা ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। শারদীয়া উৎসবের আগে সেই ক্ষতি যাতে কিছূটাও মেটানো যায় তাই হস্তশিল্পের এই বিপণন ব্যবস্থা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে করা হয়েছে। টাউন হল প্রাঙ্গণে বিভিন্ন ব্লকের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ৫০ টি স্টল বসানোর ব্যবস্থা হয়েছে। তিন দিন উৎসব চলবে। গ্রামীন হস্তশিল্পীদের তৈরি সামগ্রী রয়েছে বিভিন্ন স্টলে।

শুক্রবার উৎসবের উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে ১২ জন বৃহন্নলার হাতে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তুলে দেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যে রাজ্যের হস্তশিল্পীদের এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলোর পাশে আছে সেকথা বারবার মনে করিয়ে দেন।

মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় নানান প্রকল্প চালু করেছেন। তারমধ্যে সৃষ্টিশ্রী চালু করে হস্তশিল্পীদের যোগ্য সম্মান দিয়েছেন। মহিলাদের আত্মনির্ভরশীল হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। এটা কম বড় কথা নয়।‌ তিনি দপ্তরের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এর কাছে আবেদন রেখেছেন জেলার পাশাপাশি সৃষ্টিশ্রী উৎসব প্রতিটি ব্লকে আয়োজিত হোক। তাহলে আরও বেশি সংখ্যক স্বনির্ভর গোষ্ঠী তাদের তৈরি সামগ্রী মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সক্ষম হবেন।