২৬ তম বর্ষে শায়কের বিজয়া সম্মেলনী
অতনু হাজরা, জামালপুর : বড় বড় পত্র পত্রিকায় শুধুমাত্র বিখ্যাত লোকেদের লেখা ছাপা হয়। কিন্তু শহর তো বটেই গ্রাম বাংলার অনেক কবি সাহিত্যিক আছেন যাঁরা তাঁদের লেখা প্রকাশের সুযোগটুকুও পান না। এই সমস্ত লেখক- কবিদের লেখা সযত্নে প্রকাশ করে লিটিল ম্যাগাজিনগুলো। এতে নামি দামি লেখক কবিদের সাথে জায়গা পায় অনেক অখ্যাত অথচ যোগ্য লেখক- কবিরা। কিন্তু সেই অর্থে কোনো প্রচার নেই এই ছোট পত্রিকা গুলোর। অনেক কষ্টে অনেক আবেগ নিয়ে এই লিটিল ম্যাগাজিন প্রকাশ করেন সম্পাদকরা। সেই রকমই একটি লিটিল ম্যাগাজিন কলকাতার 'শায়ক'। যার সম্পাদক শেখর দাস। দেখতে দেখতে এই শায়ক আজ ২৬ বছরে পদার্পন করলো। সেই শায়ক পত্রিকার বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠিত হলো পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে সেলিমাবাদ হাই স্কুলে। সুদূর কলকাতা থেকে জামালপুরে শায়কের এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে শহর ও গ্রামের মেলবন্ধন ঘটান সম্পাদক শেখর দাস। সঙ্গে ছিলেন বিশিষ্ট কবি মনোজ কুমার রথ।কবিতা, গান, গল্প, বক্তব্যে অনুষ্ঠান হয়ে ওঠে জমজমাট।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এলাকার বিশিষ্ট শিক্ষক ও সাহিত্যিক কৃষ্ণবন্ধু ব্যানার্জী। আজকের এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন জিরো পয়েন্ট পত্রিকার সম্পাদিকা আঞ্জুমানোয়ারা খাতুন, প্রিয় বন্ধু পত্রিকার সম্পাদক রঘুনাথ মাঝি, প্রবাহ পত্রিকার সম্পাদক শুভাশীষ হালদার, দিগন্ত সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক অনিল কুমার ভাণ্ডারী, সহ বিশিষ্ট কবি-সাহিত্যিক তথা রাজনীতিক সন্দীপ নন্দী, নীল অর্কিড, হাফিজুর রহমান মল্লিক, শ্যামল রায়, শেখ জাহাঙ্গীর, কাশীনাথ মোদক সহ আজকের অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা সুরমান আলী মল্লিক ও বাসুদেব সাঁতরা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সকলের প্রিয় ও পরিচিত সঞ্চালক শ্যামা প্রসাদ চৌধুরী। তাঁকে সাহায্য করেন শেখ জাহাঙ্গীর ও কমলেশ মন্ডল। শেখর দাস বলেন, করোনা আবহে শায়কের ২৫ বছর পূর্তিতে কোনো অনুষ্ঠান করা যায়নি। জামালপুরে বিজয়া সম্মেলনী করতে পেরে তাঁর খুবই ভালো লাগছে। যার জন্য তিনি পূর্ব বর্ধমানের সুরমান আলি মল্লিক ও বাসুদেব সাঁতরাকে ধন্যবাদ জানান।