রেডক্রশ সোসাইটির আজীবন সদস্যদের ক্ষোভ বাড়ছে
ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : ভারতীয় রেডক্রশ সোসাইটির পূর্ব বর্ধমান জেলা শাখার বিরুদ্ধে আজীবন সদস্যদের অনেকেরই ক্ষোভ বাড়ছে। রেডক্রশ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা হেনরি ডুনান্ট। ৩০ অক্টোবর ছিল রেডক্রশ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতার ১১১ তম মৃত্যুবার্ষিকী। রেডক্রশ সোসাইটির পূর্ব বর্ধমান জেলা শাখা এদিন কয়েকজন আজীবন সদস্যকে নিয়ে সভা করলেও অবলীলাক্রমে ভুলে গেলেন প্রতিষ্ঠাতার প্রয়াণ দিবস। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো দূর অস্ত, সভায় একবারের জন্য হেনরি ডুনান্টের নামটিও কেউ উচ্চারণ করেননি। যাঁর আদর্শকে পাথেয় করেই রেডক্রশের কর্মপদ্ধতি পরিচালিত হয়। সেই মহান ব্যক্তিত্বকেই যদি কর্মকর্তারা মনে না রাখেন তাহলে আর যাইহোক রেডক্রশের পূর্ব বর্ধমান জেলা সঠিকভাবে চলছে একথা অন্তত হলফ করে বলা যায় না। এমনটাই বলেছেন আজীবন সদস্যদের অনেকেই। তাদের অভিযোগ আজীবন সদস্যের স্বীকৃতি পাওয়া সত্ত্বেও কোনও সভা বা কর্মসূচিতে ডাকা হয় না। প্রশ্ন উঠেছে, পূর্ব বর্ধমান জেলায় রেডক্রশের আজীবন সদস্যদের তথ্য আদৌ বর্তমান কর্মকর্তারা জানেনতো। নাকি সব জেনেও অধিকাংশ আজীবন সদস্যকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। অনেক অনিয়মের অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। কিন্তু রেডক্রশের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো আমাদের কাজ নয়। তাই সকলকে নিয়ে চলার বার্তা দিতেই এই প্রতিবেদন। জানা যায়, ভারতীয় রেডক্রশ সোসাইটির পূর্ব বর্ধমান জেলা শাখার আজীবন সদস্যদের সংখ্যা প্রায় তিন হাজার। প্রতিবছর দরকার নেই, পাঁচ বছরেও একবার সাধারণ সভা ডাকা যায়। সদস্যদের অভিযোগ সেটাও হয় না। অথচ পূর্ব বর্ধমান জেলায় এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান স্বয়ং জেলা শাসক। তাদের দাবী অবিলম্বে সামগ্রিক বিষয় নিয়ে কর্মকর্তারা যত্নবান হোন। তবেই রেডক্রশের পূর্ব বর্ধমান জেলার সুনাম বজায় থাকবে।