চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে আইনি সচেতনতার লক্ষ্যে পদযাত্রায় জেলা জজ


 

মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে আইনি সচেতনতার লক্ষ্যে পদযাত্রায় জেলা জজ 


জগন্নাথ ভৌমিক, বর্ধমান : জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকীতে ২ অক্টোবর নতুন দিল্লি থেকে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ দেশব্যাপী আইনি সচেতনতা ও প্রচার অভিযান কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন। আজ থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারীদের মধ্যে আইনি সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়াই হলো এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য। 

নেশানওয়াইড লিগ্যাল অ্যাওয়ারনেস এ্যান্ড আউটরিচ ক্যাম্পেইন এর অন্তর্ভুক্ত কর্মসূচির সূচনা হলো বর্ধমানেও। শনিবার মহাত্মা গান্ধীর প্রতিকৃতিতে মালা দিয়ে পদযাত্রায় অংশ নেন পূর্ব বর্ধমানের জেলা জজ তথা জেলা আইনি পরিষেবা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান শোভন কুমার মুখোপাধ্যায়, জেলা আইনি পরিষেবা কেন্দ্রের সচিব শুভঙ্কর বিশ্বাস, বর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তী সহ প্যানেল ল-ইয়ার, লিগ্যাল ভলান্টিয়ার ও অন্যান্যরা। জেলা দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালত চত্বর থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে কার্জনগেট পর্যন্ত পরিক্রমা করে। লিগ্যাল ভলান্টিয়াররা পথচারীদের মধ্যে আইনি সচেতনতার প্রচার পত্র বিলি করেন। 

এদিন পূর্ব বর্ধমানের জেলা জজ শোভন কুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, ন্যাশনাল লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটি বা নালসা হলো ভারতের আইন ব্যবস্থার সামাজিক মুখ। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বহু মানুষ আছেন যারা আর্থিক বা অন্য কারনে আইনি পরিষেবা নিতে পারেন না। কিন্তু ভারতের সংবিধানে লেখা হয়েছে প্রত্যেকের জন্য সমান আইন। কেউ যেন আইনি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হয়। সেই দৃষ্টিভঙ্গিকে কার্যকর করার লক্ষ্যে তৈরি হয়েছে ন্যাশনাল লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটি বা নালসা।  দেশের প্রান্তিক মানুষরাও যাতে আইনি পরিষেবার সু্যোগ পায়। নালসা'র নির্দেশিত পথে এবং কর্মসূচিতে জেলায় আমরাও কাজ করে থাকি। 

জেলা আইনি পরিষেবা কেন্দ্রের সচিব শুভঙ্কর বিশ্বাস বলেন, আজ মহাত্মা গান্ধীর জন্ম দিবস কে সামনে রেখে একগুচ্ছ কর্মসূচি চলবে। আসলে এটা প্যান ইন্ডিয়া লিগ্যাল অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পেইন। দেশের আমজনতা কি ভাবে বিনামূল্যে আইনি পরিষেবা পেতে পারে তারই প্রচার কর্মসূচি। আজ প্রভাতফেরির পাশাপাশি জেলা সংশোধনাগারে কয়েদিদের মধ্যে আইনি সচেতনতা সম্পর্কে জানানো হয়। রাস্তায় মানুষের হাতে সচেতনতামূলক প্রচারপত্র দেওয়া হয়। মহিলাদের মধ্যে আইনি পরিষেবার প্রচার করা হয়। এছাড়া অঙ্কন প্রতিযোগিতা, ক্যুইজ কম্পিটিশন হয়। মূল উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষকে সচেতন করা।