চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

বন্যা পরিস্থিতিতে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতির আশঙ্কা


 

বন্যা পরিস্থিতিতে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতির আশঙ্কা 


অতনু হাজরা, জামালপুর : দুদিনের বৃষ্টি ও ডিভিসি থেকে ছাড়া ২ লক্ষ ৪০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে জামালপুরে। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে দামোদরের জল। জোতশ্রীরাম অঞ্চলের জোচ্চনাদ, পাইকপাড়া, পারউজিরপুর, মঈদীপুর, রেসলাতপুর, মাঠশিয়ালি, কোরা, অমরপুর, শিয়ালি, জারগ্রাম অঞ্চলের সাজামান্তলা, নন্দনপুর, বেড়িনন্দনপুর, চকদিঘি অঞ্চলের সোনারগরিয়া এই গ্রামগুলি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। বিস্তীর্ণ অঞ্চলের চাষের জমি যেখানে মূলত  ধান ও সবজির চাষ সেগুলো সব জলের তলায়। চাষিদের মাথায় হাত। জলমগ্ন মানুষজন বাইরে বের হতে পারছেন না। আজ সেই সব অঞ্চল পরিদর্শন করলেন জামালপুরের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান ও জামালপুর থানার অফিসার ইন চার্জ মিঠুন কুমার ঘোষ, বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের অফিসার ফাল্গুনী মুখার্জী সহ তাবারক আলী মন্ডল, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'আকাশ' এর সভাপতি অয়ন চক্রবর্তী এবং অন্যান্যরা। তাঁরা জোতশ্রীরাম, জারগ্রাম ও চকদিঘী অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলো ঘুরে দেখেন।

 কিছু মানুষজনের হাতে ত্রিপল তুলে দেওয়া হয়। বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার বলেন অনেকগুলি গ্রামে জল ঢুকেছে, চাষের জমিতেও জল ঢুকেছে। ফসল নষ্ট হবার সম্ভবনা রয়েছে। এখনো পর্যন্ত বড় কোনো ক্ষয় ক্ষতি নেই। তিনি বলেন, তাঁর ব্লক প্রশাসন সতর্ক আছে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য। তবে জল নেমে না যাওয়া পর্যন্ত প্রকৃত ক্ষয় ক্ষতি বলা যাবেনা। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান জানান, বেশ কয়েকটি গ্রাম জল ঢুকে ক্ষতি হয়েছে। চাষের জমিতেও জল ঢুকেছে। তিনি সকলকে আশ্বস্ত করে বলেন কারোর কোনো চিন্তা নেই ব্লক প্রশাসন সবসময় সজাগ আছে। যেকোনো ব্যবস্থা তাঁরা নেবেন। তিনি জানান অনেককেই স্কুলবাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি আরো জানান এডিএ সাহেবের সাথে কথা বলেছেন চাষের জমির ক্ষয় ক্ষতির হিসাব করার জন্য। এডিএ সঞ্জিবুল ইসলাম জানান,  জোতশ্রীরাম, জারগ্রাম ও চকদিঘি অঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রামের জমি জলমগ্ন হয়েছে। জল নেমে গেলে প্রকৃত তথ্য পাওয়া যাবে। এলাকার অনেক মানুষ নদীর ধারে বাঁধের উপরেই সরারাত জেগে থেকেছেন। যেভাবে গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে জল নামলে প্রকৃত ক্ষতি বুঝতে পারা যাবে।