চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

দশ মাস নয়, বারো মাস বেতনের দাবিতে আন্দোলন


 

দশ মাস নয়, বারো মাস বেতনের দাবিতে আন্দোলন 


ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : বছরে দশ মাস নয়, দিতে হবে বারো মাসের বেতন। এই দাবীতে সারা বাংলায় মিড-ডে-মিল কর্মীরা আন্দোলনে সোচ্চার হয়েছে । সারা বাংলা মিড ডে মিল কর্মী ইউনিয়নের নেতৃত্বের বক্তব্য করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে স্কুল-কলেজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীদের বেতন বন্ধ হয়নি, কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও  মিড ডে মিল কর্মীদের মাসে ৭ দিন স্কুলে আসতে হয় ছাত্র-ছাত্রীদের শুকনো খাবার প্যাকেটজাত করে বিতরনের উদ্দেশ্যে। গরমের ছুটি এবং পুজোর ছুটিতে এই কাজ চালু থাকলেও মিড-ডে-মিল কর্মীরা বেতন পায় না বছরে দুমাস। মাত্র দেড় হাজার টাকার বিনিময়ে এই কর্মীরা কাজ করে চলেছেন। ২০১৩ সালের পর থেকে তাদের এক পয়সা বেতন বৃদ্ধি হয়নি। এই কর্মীদের নেই কোনো সামাজিক সুরক্ষা, কর্মীর স্বীকৃতি মেলেনি উপরন্তু কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার উভয়ই এই প্রকল্পকে বেসরকারিকরণ করার পরিকল্পনা নিচ্ছে। ইতিমধ্যেই ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে বাধ্য করেছে যাতে অ্যাকাউন্টে মিড ডে মিল এর বরাদ্দ টাকা  দিয়ে দেওয়া যায়।

কিন্তু যে উদ্দেশ্য নিয়ে এই প্রকল্প চালু হয়েছিল, স্কুলছুট শিশুদের স্কুলের আঙিনায় নিয়ে আসা ও শিশুদের পুষ্টির ঘাটতি পূরণের সামান্যতম সুযোগ এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে হতো -- সে টুকু থেকেও বঞ্চিত হবে ছাত্রছাত্রীরা, যদি এই প্রকল্প উঠে যায়। এর ফলে এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত লক্ষাধিক মহিলা কর্মী কাজ হারাবেন। তাই মঙ্গলবার মিড ডে মিল কর্মীরা আন্দোলনের পথে পা বাড়িয়েছেন। দাবি তুলেছেন -- মিড ডে মিল প্রকল্প কে বেসরকারিকরণ করা চলবে না। মিড ডে মিল কর্মীদের স্থায়ী কর্মীর স্বীকৃতি দিতে হবে। সামাজিক সুরক্ষা দিতে হবে। মিড ডে মিল কর্মীদের জন্য খাবার বরাদ্দ করতে হবে ১০ মাস নয়, ১২ মাস বেতন দিতে হবে। মাতৃত্বকালীন ছুটি সহ বছরের ২৪ দিন ছুটি দিতে হবে ইত্যাদি ১৩ দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে মিড ডে কর্মী ইউনিয়ন। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন ব্লক স্তরে, মহকুমা স্তরে, জেলাশাসকের দপ্তরে ডেপুটেশন কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলনে সামিল হয়েছে মিড-ডে-মিল কর্মীরা।

আজ ১৩ দফা দাবিতে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর মহকুমা শাসকের নিকট ডেপুটেশন দেয় সারা বাংলা মিড-ডে-মিল কর্মী ইউনিয়নের দুর্গাপুর কমিটি। এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন বুলা বিশ্বাস এবং কল্পনা মন্ডল।