ডিজিটাল পদ্ধতিতে পড়ানোর ব্যবস্থায় জাতীয় শিক্ষকের সম্মানে ভূষিত পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক ডঃ হরিস্বামী দাস
৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১
করোনাকালে স্কুল বন্ধ প্রায় দুবছর। কিন্তু প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুল পিছিয়ে নেই পঠনপাঠনে। এই পরিস্থিতিতে ছাত্র-ছাত্রীদের ডিজিটাল পদ্ধতিতে পড়ানোর ব্যবস্থা করে এবছরে জাতীয় শিক্ষকের সম্মানে ভূষিত হলেন বাংলার একমাত্র শিক্ষক ডঃ হরিস্বামী দাস। বুধবার ভারত সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের আওতাধীন ফিল্ড আউটরিচ ব্যুরো বর্ধমান শাখা আয়োজিত ওয়েবিনারে খোলামেলা আলাপচারিতায় অংশ নিলেন মালদার শোভানগর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ডঃ হরিস্বামী দাস।
এক ঘণ্টার আলাপচারিতায় ডঃ দাস বলেন, করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকার সময় তিনি কিউয়ার কোডের মাধ্যমে পঠনপাঠন শুরু করেন। তিনি বলেন, আ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ কম্পিউটার কোর্সে শিক্ষানবিশ থাকাকালীন তিনি তার স্কুলের বই ও অন্যান্য পঠনপাঠনের বিষয়গুলিকে কিউআর কোডের আওতায় আনেন এবং ছাত্র-ছাত্রীরা এরফলে তাদের সুবিধে মতো সময় তাদের মোবাইল ফোনে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে থাকে। ডিজিটাল শিক্ষণপদ্ধতির এ হেন অভিনব ব্যবস্থার জন্যই ড: হরিস্বামী দাস আজ বাংলা থেকে একমাত্র জাতীয় শিক্ষকের সম্মানে ভূষিত। পাশাপাশি তিনি ‘শিক্ষক রত্ন’ সম্মানেও সম্মানিত হয়েছেন। আজকের আলাপচারিতায় পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশ রক্ষায় দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে তার কর্মকাণ্ডের বিষয়ে আলোকপাত করে তিনি বলেন, ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক দিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করে পরিবেশ রক্ষা করা এবং জলসংরক্ষণের অভিনব পদ্ধতি হাতে কলমে তিনি শিখিয়ে যাচ্ছেন শতাধিক অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে আজকের অনুষ্ঠানে কলকাতার প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো এবং রিজিওনাল আউটরিচ ব্যুরোর অতিরিক্ত মহানির্দেশিকা শ্রীমতী জেন নামচু অংশ নেন। তিনি বলেন, শিক্ষকদের অভিনব কর্মকাণ্ড ছাত্রদের অনুপ্রাণিত করে।
অনুষ্ঠানে শোভানগর হাইস্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা বলে, স্কুলের নতুনধরণের পঠনপদ্ধতিতে তারা খুবই উপকৃত।
0 Comments