চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

করোনা অমানিশা থেকে উত্তরণের পথ দেখাবে আলমগঞ্জ বারোয়ারী


 

করোনা অমানিশা থেকে উত্তরণের পথ দেখাবে আলমগঞ্জ বারোয়ারী 


জগন্নাথ ভৌমিক, বর্ধমান : শরতের আকাশে সাদা তুলোর মতো মেঘের আনাগোনা। মাঠে-ঘাটে কাশের বাহার। বাতাসে শিউলি ফুলের সুবাস। সব মিলিয়ে আগমনীর আবাহনে সেজে উঠেছে প্রকৃতি। করোনা অতিমারি আবহে তৃতীয় ঢেউয়ের চোখ রাঙানির মাঝেই সরকারি বিধিনিষেধ মেনে বাঙালি নিজের প্রিয় উৎসবের আয়োজনে তৎপর। করোনার গভীর অমানিশা অতিক্রম করে আলোর উত্তরণের পথ খুঁজছে সকলেই। এবছর দুর্গাপুজোর আয়োজনে সেই পথ দেখাবে বর্ধমান শহরের আলমগঞ্জ বারোয়ারী। 'আঁধারে আলো' এই ভাবনায় আলমগঞ্জ বারোয়ারী ৭১ তম বর্ষের দুর্গাপুজোর আয়োজনে ব্রতি হয়েছে। শুক্রবার গনেশ চতুর্থীর শুভক্ষণে খুঁটি পুজোর মাধ্যমে আলমগঞ্জ বারোয়ারী দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি শুরু করে দিল।

 এদিনের খুঁটি পুজো অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিল্পী গৌরাঙ্গ কুইলা। যার হাতের ছোঁয়ায় আঁধারে আলোর উদভাষ দেখতে পাবেন শহর বর্ধমান সহ বাংলার মানুষ। আজ থেকে শুরু সেই 'আঁধারে আলো' দেখার কাউন্ট ডাউন। শুক্রবার খুঁটি পুজোর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আলমগঞ্জ বারোয়ারীর সভাপতি সনৎ কুমার নন্দী সহ মনীষ সিংহ, পলাশ নন্দী এবং অন্যান্যরা।

আলমগঞ্জ বারোয়ারীর সভাপতি সনৎ কুমার নন্দী  বলেন, সাধারণ মানুষ কার্যত গৃহবন্দী থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে উঠেছে। সরকারি বিধিনিষেধ মেনে সুন্দর ভাবে যদি এই পুজোর আয়োজন করা যায়, তাহলে কিছু মানুষকে আনন্দ দেওয়া যাবে। আমরা গৌরাঙ্গ বাবুর হাত ধরে সেই লক্ষ্যে চলেছি। বাজেট প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য পলাশ নন্দী বলেন, বাজেট নির্দিষ্ট করে আমরা পুজোর আয়োজনে নামি না। থিম বাস্তবায়নে যেখানে গিয়ে শেষ হবে তাতেই আমরা আছি। আসলে আলমগঞ্জ বারোয়ারীর দুর্গাপুজো বর্ধমান শহরবাসীর পুজো। আর সেই জন্যই বাজেট নিয়ে আমাদের ভাবতে হয় না। বর্ধমানবাসী সব সময় আমাদের পাশে আছে।