চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

দুয়ারে সরকারের শিবিরে আমজনতার ভিড়ে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির স্ত্রী


 

দুয়ারে সরকারের শিবিরে আমজনতার ভিড়ে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির স্ত্রী


রাধামাধব মণ্ডল, ৩ সেপ্টেম্বর, আউসগ্রাম



দুয়ারে সরকারের শিবিরে আমজনতার ভিড়ে লাইনে দাঁড়িয়ে লক্ষ্মী ভাণ্ডারের ফর্ম তুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতির স্ত্রী। শুক্রবার পূর্ব বর্ধমান জেলার আউসগ্রাম ২ ব্লকের রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের দ্বিতীয় দিনের দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প বসেছিল রামনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে। এদিনের ক্যাম্পে সকাল থেকেই লক্ষ্মী ভাণ্ডার প্রকল্পের ফর্ম তোলা এবং জমা দেওয়ার জন্য দীর্ঘ লাইন পড়ে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই লাইন দীর্ঘতর হয়। প্রখর তাপকে উপেক্ষা করে এদিনের মহিলাদের লাইনে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। বেলা ১২ টার সময় রামনগর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আসগর সেখ-এর স্ত্রী হাসিনা সেখ লাইনে এসে দাঁড়ায়। লক্ষ্মী ভাণ্ডারের ফর্ম তোলার জন্য। তিনি ২০০৮ সালের বাম জমানার পরিবর্তনের প্রাক্তন রামনগর পঞ্চায়েতের সদস্যা ছিলেন। বর্তমানে নিজের স্বামী অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি, ছেলে পঞ্চায়েতের বর্তমান উপপ্রধান হওয়া সত্ত্বেও লাইনে দাঁড়িয়ে লক্ষ্মী ভাণ্ডারের ফর্ম তুললেন এবং দীর্ঘক্ষণ পর নিজেই লাইনে দাঁড়িয়ে জমা দিলেন। আর অদূরে মাঠের মধ্যে বসে স্ত্রী'র সেই ফর্ম ফিলাপ করে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি স্বামী।

 লাইনে ঠেলাঠেলি করেই গ্রামের আর পাঁচ জনের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ফর্ম পূরণ করে, সেই আনন্দ ভাগ করে নিলেন সঙ্গিনীদের সঙ্গে। এবিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে সেখ হাসিনা বলেন, "এটাই জীবন। আর পাঁচজনের সঙ্গে ভাগ করে নিতে জানতে হয়। উনি আমাকে সেই শিক্ষাই দিয়েছেন। কখনও সুযোগ নিয়েছি, এমনটা মনে পড়ে না। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে বেঁচে আছি। তিনি আমাদের সকলকে নিয়ে চলার বার্তাই দেন।"

তবে এবিষয়ে তেমন কিছু বলতে চাননি আসগর বাবু। তিনি বলেন, "আমি দলের নির্বাচিত সভাপতি। দলের আর আমার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উর্দ্ধে নই। তিনি যা নির্দেশ দেন, মেনে চলি।" ক্যাম্পে দাঁড়িয়ে থেকে রামনগরের প্রধান সুকুমার আঁকুড়ে, উপপ্রধান সেখ জিয়াউল হক'রা মানুষের পরিষেবা দিতে ব্যস্ত থাকেন। একদল পঞ্চায়েতের কর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন সার্টিফিকেট দিয়ে সাহায্য করেন জনগণকে। 

আজ দ্বিতীয় দিনের ক্যাম্প পরিদর্শনে আসেন আউসগ্রাম বিধানসভার বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দার। তিনি প্রতিটি গ্রামের পৃথক পৃথক ক্যাম্প ঘুরে দেখেন। এবং জনগণের থেকে সুযোগ সুবিধার কথা শোনেন। জিজ্ঞেস করেন, সরকারি পরিসেবা পেতে কেউ কোনো রকম অসুবিধা ভোগ করছেন কি না। শেষে বিধায়ক বলেন, "আউশগ্রামের রামনগরের মানুষের উৎসাহ দেখে আনন্দ পেলাম। বহু মানুষ উপকৃত হচ্ছে। সুশৃঙ্খল ভাবে মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে ফর্ম তুলছেন এবং জমা দিচ্ছেন, এটা দেখে আনন্দ হচ্ছে। সেখানে আমার পার্টির নেতা, কর্মীরাও লাইনে দাঁড়িয়ে পরিষেবা নিচ্ছেন। "গোটা আউসগ্রাম জুড়ে চলছে দুয়ারে সরকার। জঙ্গলমহলের আদিবাসীরাও আসছেন ক্যাম্পে।

এদিন আউশগ্রাম ২ ব্লকের রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে মানুষ ২০৭৭ টি লক্ষ্মী ভাণ্ডারের ফর্ম তুলেছেন। আর জমা করেছেন ২০২৭ টি। স্কুলের শিক্ষক ও পার্টির নেতা অর্ঘ্য বিশ্বাস, দেবদাস সরকাররাও এদিন ক্যাম্পে উপস্থিত থেকে মানুষের বিভিন্ন প্রকল্পের ফর্ম ফিলাপ করে দেন।