চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

খুনের আসামি ধরতে পুলিশকে ১৫ দিন সময় বেঁধে দিলেন অনুব্রত মন্ডল


 

খুনের আসামি ধরতে পুলিশকে ১৫ দিন সময় বেঁধে দিলেন অনুব্রত মন্ডল 


রাধামাধব মণ্ডল, আউশগ্রাম 


আউশগ্রামে খুন হওয়া যুবনেতার বাড়িতে এলেন  তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি তথা আউশগ্রামের দলীয় পর্যবেক্ষক  অনুব্রত মণ্ডল। তিন দিন হয়ে গেলেও এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। আউশগ্রামের দেবশালায় খুন হওয়া যুবনেতা চঞ্চল বক্সীর বাড়িতে বৃহস্পতিবার পৌঁছেই, তোপ দাগলেন অনুব্রত মণ্ডল। কোনো  বিরোধী দলকে উদ্দেশ্য করে তিনি কিছু বললেন না। তিনি বৃহস্পতিবার যা বললেন, মৃত যুবনেতার বাবা দেবশালা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল বক্সীকে পাশে নিয়ে, তাতে তিনি দলকেও এক হাত নিলেন। মৃত যুবনেতার বাড়িতে দাঁড়িয়ে অনুব্রত বলেন, দেখুন আমি একটা কথা বলি। এই মার্ডারটা আমি মেনে নেব না। কারণ এই পরিবারটাকে আমি খুব ভালো করে চিনি। এদের কোনো শত্রু ছিল না এই গ্রামে। যদি বিজেপি ভাবে আমি মার্ডার করবো। আর তৃণমূল কংগ্রেস চুপচাপ থাকলে, কেষ্ট মণ্ডল চুপচাপ থাকবে না। কেষ্ট মণ্ডল মৃত্যুর ভয় পায় না। ১৫ দিনের মধ্যে যদি আসামি না ধরা পড়ে, যে জিনিষ করবো আমি, খুব ভয়ঙ্কর খেলা খেলে দিয়ে যাবো। এটা আমি বলে দিয়ে গেলাম। পুলিশকে আমি যা বলার বলেছি। এসপি-কে আমি যা বলার বলেছি। ১৫ দিনের মধ্যে আসামি ধরতে হবে। কোনো কাহিনি শুনবো না। আমি চাইনা অশান্তি হোক। আর অশান্তি যদি কেউ চায়, আমি চ্যালেঞ্জ দিলাম। আমিতো বললাম যারা করেছে, পুলিশকে ধরে প্রমাণ করতে হবে কারা করেছে। "সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরও বলেন, 'দলের যদি কেউ হয়, তাহলে তাকে আগে গুলি করে মেরে দেওয়া উচিৎ। ' কেষ্ট মোড়লের এই বক্তব্য শেষ হতেই হাত তালি দিতে শুরু করে দেবশালার সমবেত জনতা।

এদিন অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে যুবনেতার বাড়িতে গিয়েছিলেন আউশগ্রাম ২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রামকৃষ্ণ ঘোষ, আউশগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দার। আউশগ্রামের দেবশালার যুবনেতা চঞ্চল বক্সী, তার বাবা শ্যামল বক্সীকে নিয়ে বাইকে করে গেঁড়াই এর অনুষ্ঠান বাড়ি থেকে ফেরার পথে উলুগড়ির জঙ্গলে দুটি বাইকে করে চার জন এসে গুলি চালায় তাদের লক্ষ্য করে। গুলিতে বাইকে চেপে থাকা দেবশালার প্রধান শ্যামল বক্সী প্রাণে বেঁচে গেলেও, ঘটনাস্থলেই গুলি বিদ্ধ হয়ে গুরুত্তর আহত অবস্থায় যুবনেতা চঞ্চল বক্সীকে জামতাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে, চিকিৎসকরা সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। মঙ্গলবারের সেই ঘটনার একদিন পর মৃতের ভাই রাহুল বক্সী পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। সেই মতো বুধবারই অভিযোগটি আউশগ্রাম থানায় এসে কেশ শুরু হয়। এই কেশের তদন্তকারী অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ছোড়া পুলিশ ফাঁড়ির আই সি রণজিৎ মুখোপাধ্যায়কে। যদিও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অনুব্রত মণ্ডল পুলিশকে সঠিক আসামি ধরার জন্য ১৫ দিনের নির্ধারিত সময় বেঁধে দিলেন। এবিষয়ে জেলা পুলিশের কেউই কোনো মুখ খুলতে চাননি।