চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

বজ্রাঘাতে তৃণমূল নেতার মৃত্যু

 


বজ্রাঘাতে তৃণমূল নেতার মৃত্যু 


রাধামাধব মণ্ডল, আউশগ্রাম : বুধবার  বজ্রাঘাতে মৃত্যু হলো এক তৃণমূল নেতার। আউশগ্রাম বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের রামনগর অঞ্চল সংখ্যা লঘু সেলের সভাপতি নিজাম মির্জা মারা যান। বুধবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ রামনগরের খোর্দ্দদেরিয়াপুর  গ্রাম লাগোয়া কুনুর ধারের রাধাগড়ের মাঠে কৃষিকাজে যাওয়ার সময় মাঠেই বজ্রাঘাতে মারা যান। তার সঙ্গে গ্রামের কয়েকজনও আহত হয়েছে বলে জানা যায়।

তৃণমূল কংগ্রেস নেতার আকর্ষিক প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে আউশগ্রাম বিধানসভার রামনগর অঞ্চলে। মৃত্যুর খবর শুনে হাজার হাজার মানুষ তার বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হয়। 

প্রয়াত পার্টি নেতার বাড়িতে খবর পেয়ে পৌঁছায় রামনগর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি আসগর সেখ, ব্লক নেতা অর্ঘ্য বিশ্বাস, দেবদাস সরকাররা। সেই সঙ্গে খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয় থেকে প্রধান সুকুমার আঁকুড়ে, উপপ্রধান সেখ জিয়াউল হক-রা মৃত নেতার বাড়িতে গিয়ে পৌঁছায়। ২০০৮ সালে গোটা রাজ্যে প্রথম পঞ্চায়েত তৃণমূল কংগ্রেস দখল করে আউশগ্রামের রামনগরে। সেই লড়াইএর সময় থেকে রামনগরে অগ্রণী ভূমিকায় ছিলেন  এই নেতা।  প্রয়াত  নেতা নিজাম মির্জার বাড়িতে রয়েছেন দুই অবিবাহিত কণ্যা, এক পুত্র। অবিবাহিত পুত্রের  নাম মিলন মির্জা সে বর্তমানে কলকাতার প্রাইভেট ফার্মে কর্মরত। বর্তমানে বাড়িতে মৃত নেতার স্ত্রী পূর্ণিমা বিবি মির্জা রয়েছে, দুই মেয়েকে নিয়ে। 

রামনগর অঞ্চল সংখ্যা লঘু সেলের সভাপতির বাড়ি খোর্দ্দদেরিয়াপুরের মসজিদ পাড়াতে। আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের সদস্য হয়েও তিনি তৃণমূলের সর্বক্ষণের কর্মী ছিলেন শোকবার্তায় বলেন রামনগর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আসগর সেখ। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, অতীতে সিপিআই(এম) এর বহু অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে নিজামকে। পার্টির প্রতি তার অসীম আস্থা ছিল।