পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে পালিত হলো ভারতের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস। এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন ক্লাব, স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ সহ সরকারি কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে পালিত হল স্বাধীনতা দিবস। পূর্ব বর্ধমান জেলায় মূল অনুষ্ঠানটি হয় জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে। সকাল সাড়ে নয়টায় জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে মাল্যদান করার পর জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। এরপর পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিশ ব্যান্ড জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে। অনুষ্ঠানে জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক কুশল চক্রবর্তী সহ অন্যান্য আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে গিটারে দেশাত্মবোধক গানের সুর বাজিয়ে শোনান দ্বৈপায়ন চক্রবর্তী।
এদিনের অনুষ্ঠানে জেলা শাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রথমেই দেশের স্বাধীনতার জন্য যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদেরকে প্রণাম জানান। তিনি বলেন, করোনা অতিমারি বিধিনিষেধের আবহে আমরা ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছি। মনে রাখতে হবে করোনা সংক্রমণে পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৩৮ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন। বহু প্রিয় জন কে হারিয়েছি আমরা। তবুও রাজ্য সরকারের সার্বিক পরিকল্পনায় চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, এবং বিভিন্ন দফতরে সরকারি কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এবং জনগণের সচেতনতায় এই রোগকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি। কোভিড টিকা প্রদানের কাজ চলছে। তাই সকলের কাছে বিনীত অনুরোধ কোভিড ১৯ এর সংক্রমণ থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন। কোভিড স্বাস্থ্যবিধি আরো কিছুদিন মেনে চলুন।
স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের পরেই জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা সাংবাদিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। সেখানে তিনি দুয়ারের সরকার প্রকল্প সম্পর্কে আলোকপাত করেন। তিনি জানান ১৬ আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে দুয়ারের সরকার প্রকল্প চলবে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। জেলার প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এবং পৌর এলাকায় এই প্রকল্পের শিবির হবে। সাধারণ মানুষ নিজে উপস্থিত থেকে পরিসেবা গ্রহণ করতে পারবেন। তিনি বলেন, দুয়ারের সরকার প্রকল্পে বিগত দিনের সুবিধাগুলি সঙ্গে এবার নতুন সংযোজন হলো লক্ষীর ভান্ডার।
এদিন জেলা শাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা দুয়ারে সরকার এবং পাড়ায় সমাধান বিষয়ক একটি ট্যাবলো প্রচারের সূচনা করেন। জেলার প্রতিটি ব্লকে ঘুরে দুয়ারের সরকার বিষয়ক প্রকল্পের সুবিধা গানের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরবেন লোক শিল্পীরা।