চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বিজেপি নেতার খবরদারি


 

দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বিজেপি নেতার খবরদারি


রাধামাধব মণ্ডল

আউসগ্রাম, ২৩ আগস্ট ২০২১


পূর্ব বর্ধমান জেলার আউসগ্রাম ২ ব্লকের রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুয়ারে সরকার প্রকল্পের প্রথম দিনের ক্যাম্প ছিল আজ। এদিন রামনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত ক্যাম্পে সকাল থেকেই ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। মহিলাদের ভিড়েই ভর্তি ছিল স্কুলের মাঠ। এই ক্যাম্প এলাকায় মূলত লক্ষী ভাণ্ডার প্রকল্পের ফর্ম বিলি কে কেন্দ্র করে, ভিড় হয়। তৃণমূল পরিচালিত রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য, প্রধান, উপপ্রধানরা মূলত সমস্ত রকম সার্টিফিকেট দেওয়ার কাজটি করছিলেন। রামনগরের প্রধান সুকুমার আঁকুড়ে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে, নিজেদের কর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন সার্টিফিকেট দেওয়ার ব্যবস্থা করেন, যাতে কোনো মানুষের অসুবিধা না হয়। যদিও বিভিন্ন গ্রামের স্বেচ্ছাসেবক, ১০০ দিনের সুপার ভাইজার, আশাকর্মী, আইসিডিএস কর্মীরা ফর্ম গুলি ফিলাপ করার কাজ করে দিচ্ছিল সকাল থেকেই। তেমন ভাবে বিরোধী কোনো সিপিএম নেতাকেও এদিন দেখা যায়নি রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে। তবে শেষ বেলায় রামনগরের প্রবীণ সিপিআই (এম) নেতা অরুণ নন্দীকে এবং মালিয়াড়ার আদিবাসীদের সিপিআই (এম) নেতা কনক হেমরমকেও এদিন সামাজিক সহায়তা প্রকল্পে নিজেদের ফর্ম নিজেকে নিয়ে জমা দিতে দেখা যায় ক্যাম্পে। বহু তৃণমূলের কর্মী, নেতারাও জনগণের দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে ফর্ম তোলেন।

তবে দুপুর বারোটা থেকে বিকাল পর্যন্ত সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে উপস্থিত হন বিজেপির জেলা নেতা ভরত ঢালি। তিনি একেবারেই লক্ষী ভাণ্ডার প্রকল্পের ফর্ম বিলির আধিকারিকদের টেবিলের কাছে গিয়ে বসেন। এবং তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মানুষের অভিযোগ ওই বিজেপি নেতা ব্লক আধিকারিক মোশারফ বাবুর ঠিক পাশে গিয়ে বসেন এবং নিজের প্রভাব জারি করতে থাকেন। মালিয়াড়া গ্রামের তৃণমূল নেতা চিন্ময় ঘোষ, ন'পাড়া গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য সুকুমার মেটেদের অভিযোগ, " প্রশাসনের তরফ থেকে বার বার বলা হলেও বিজেপি নেতা ভরত ঢালি উঠে যাননি।" তাদের আরও অভিযোগ এভাবে কোনো রাজনৈতিক নেতা সরকারি কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। এটা আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ। রামনগরের প্রধান সুকুমার আঁকুড়ে বলেন, "আমাদের পঞ্চায়েতের প্রথম দিনের ক্যাম্প সুষ্ঠু ভাবে হয়েছে। সরকারের কাজে মানুষ উপকৃত হচ্ছে। তবে এক রাজনৈতিক নেতা দীর্ঘক্ষণ ক্যাম্পের ভিতরে প্রভাব খাটিয়েছে শুনেছি। এই অভিযোগ আমিও পেয়েছি। খোঁজ নিচ্ছি। এমন হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তার বিরুদ্ধে।" 

তবে এবিষয়ে জিজ্ঞেস করতে ফোন করা হলে, বিজেপি নেতা ভরত ঢালিকে ফোনে পাওয়া যায়নি। আউশগ্রাম ২ এর বিডিও গোপাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এখন মিটিংএ রয়েছি। খোঁজ নিচ্ছি, কি হয়েছে। এমন হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" 

যদিও এবিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে রামনগর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আসগর সেখ বলেন, "আমরাও ক্যাম্পে ছিলাম, নিজেদের ফর্ম ফিলাপ করতে। আমিও এমন দৃশ্য দেখে হতবাক হয়েছি। আশারাখি প্রশাসন এবিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।"