Scrooling

উচ্চমাধ্যমিক ২০২৫ প্রথম দশে ৭২ জন। প্রথম হয়েছে রূপায়ন পাল। রূপায়ন বর্ধমান সিএমএস হাইস্কুলের ছাত্র। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৭ ( ৯৯.৪ শতাংশ) # ২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যে প্রথম রায়গঞ্জের করোনেশন হাইস্কুলের অদৃত সরকার। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৬ নম্বর # ষষ্ঠ সিন্ধু জিব্রাল্টার জয় করে ইতিহাসের পাতায় সায়নী # বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় # সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ২৫ হাজার ৭৫২ জন শিক্ষকের চাকরি গেল # আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বিজয়ী ভারত, নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে তৃতীয় বারের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হল ভারত # প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রীর শোকজ্ঞাপন # বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভার সাংসদ হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় # 'দাদাসাহেব ফালকে' সম্মানে ভূষিত হলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী

শিক্ষকের অভাবে বন্ধ উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগ চালুর দাবিতে ডেপুটেশন

 



শিক্ষকের অভাবে বন্ধ উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগ চালুর দাবিতে ডেপুটেশন


কাজল মিত্র, আসানসোল : পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার দেন্দুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ডিভিসির দ্বারা পরিচালিত ডিভিসি লেফট ব্যাঙ্ক উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ে প্রয়োজন মাফিক শিক্ষক না থানায় বিগত দু'বছর ধরে বন্ধ হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগ। প্রচুর সমস্যার মধ্যে রয়েছে এই অঞ্চলের পড়ুয়ারা, বলা যেতেই পারে এই অঞ্চলের মধ্যে একমাত্র উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় হচ্ছে ডিভিসি লেফট ব্যাঙ্ক স্কুল। যেখানে প্রচুর গরীব পরিবারের ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা করে। কিন্তু প্রায় দু'বছর ধরে শিক্ষক না থাকায় বন্ধ হয়ে যায় উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের ভর্তি। তাছাড়া এই বিদ্যালয়ে রাজ্য সরকারের কোনো সুবিধা ছাত্রছাত্রীরা পায় না বলে জানা যায়।এই সব কিছু বিষয় নিয়ে মঙ্গলবার এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জে. হালদারের হাতে একটি লিখিত স্মারকলিপি তুলেদেন দেন্দুয়া আঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস। তারা প্রধান শিক্ষকের কাছে দাবি রাখেন যেকোনো উপায়ে উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগ চালু করা এবং যেসমস্ত সরকারী প্রকল্প ছাত্রছাত্রীরা পাচ্ছে না তার ব্যাবস্থা করা।

এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা মনোজ তেওয়ারী বলেন দেন্দুয়া অঞ্চলের উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় একটা যেটা ডিভিসি দ্বারা পরিচালিত। কিন্তু বিগত দু বছর ধরে উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগ বন্ধ করে দেওয়ার ফলে প্রচুর সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এই স্কুলে ডিভিসিতে কর্মরত ব্যক্তিদের বাচ্চাদের থেকে এই অঞ্চলের গরীব শিশুরা বেশি পড়ে। তাই আজ তাদের পড়াশোনা প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে। এই বিষয়টি আমরা লিখিত রূপে শিক্ষা দপ্তর থেকে শুরু করে ডিভিসি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আগামী দিনে স্কুলের প্রতি যদি ডিভিসি ধ্যান না দিলে আমাদের বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবো।

তাছাড়া এই স্কুলে পড়ুয়ারা রাজ্য সরকারের প্রতি সুবিধা থেকেও বঞ্চিত রয়েছে। এই বিষয়ে লিখিত ভাবে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে বিদ্যালয় থেকে শুরু করে উচ্চ আধিকারিকদের।

এই প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জে. হালদার বলেন যে এই বিদ্যালয়টি ডিভিসির দ্বারা পরিচালিত তাই রাজ্য সরকারের দেওয়া কোনো সুবিধা তারা নিতে পারেন না। তাছাড়া যদি সরকার নিজ উদ্যোগ নিয়ে দিতে চান তবে তাদের কোনো অসুবিধা নেই।

আর উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগ বন্ধ করার পিছনে একটাই কারণ হলো বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষক নেই। কোনো রকমে স্কুল চলছে। তিনি জানান, যদি ডিভিসি শিক্ষক নিয়োগ করে তবে তারা পূনরায় উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগে ভর্তি চালু করে দেবেন। তাছাড়া তিনি আরো বলেন এই ডেপুটেশন প্রসঙ্গে তিনি ডিভিসির সমস্ত উচ্চ আধিকারিকদের জানাবেন।

এইদিন উপস্থিত ছিলেন দেন্দুয়া পঞ্চায়েতের উপ প্রধান রঞ্জন দত্ত সহ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মবিন খান, রামচন্দ্র সাউ, কল্যাণ ঘোষাল প্রকাশ তেওয়ারী, সোনি সিং সহ আরো অনেকে।