চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

বাবুল সুপ্রিয় : মাথা ন্যাড়া করে শোক প্রকাশ গ্রামবাসীদের


 

বাবুল সুপ্রিয় : মাথা ন্যাড়া করে শোক প্রকাশ গ্রামবাসীদের


কাজল মিত্র, সালানপুর : পশ্চিম বর্ধমান জেলার সালানপুর ব্লকের দেন্দুয়া পঞ্চায়েতের একমাত্র সিধাবাড়ি গ্রাম যে গ্রামটি বাবুল সুপ্রিয় সাংসদ হবার পরেই দত্তক নিয়েছিলেন। কিন্তু বাবুল সুপ্রিয় সাংসদ পদ থেকে ইস্তাফা দেওয়ার কথা সামনে আসতেই হতাশ সিধাবাড়ি গ্রামের মানুষ। গ্রামের কিছু মানুষ মাথা ন্যাড়া করে শোক প্রকাশ করলেন। গ্রামবাসীদের বক্তব্য সাংসদ থাকাকালীন এই গ্রামে কটি সোলার লাইট, রাস্তা ও সাবমার্সেবল পাম্প ছাড়া কিছুই উন্নয়ন করেনি তিনি। এবার তাও হবে না, রাজনীতির শিকারকার হয়েছেন। এমনি দাবি করেন গ্রামের মানুষজন। তাছাড়া গ্রামবাসীদের অনেকেই বলেন, এই গ্রামে এসে অনেক কিছু উন্নয়ন করার দাবি করেছিলেন। বাবুল সুপ্রিয় বলেছিলেন এই গ্রামে হাসপাতাল হবে, বড় বিদ্যালয় হবে কিন্তু ২বার তিনি সাংসদ হলেও কিছুই করেনি আর করবেনও না। আমাদের মতে এই সিদ্ধান্ত ওনার আগে নেওয়া উচিত ছিলো।

আজ সকালে সিদাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা অমর মণ্ডল এবং বিনোদ দাস নিজের মাথা ন্যাড়া করেন এবং তারা জানান এই গ্রামকে বাবুল সুপ্রিয় দত্তক নিয়ে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা আজও পর্যন্ত পূরণ করেননি। তাও কোথাও আমাদের আশা ছিল হয়তো এবার তিনি গ্রামে বিদ্যালয় এবং একটি বড় হাসপাতাল গঠন করবেন কিন্তু তা আর হবে না। তিনি তো বাবা হিসাবে গ্রামকে দত্তক নিয়েছিলেন তাই উনি চলে যাওয়াতে গ্রামকে অনাথ করে দিলেন তাই আজ আমরা মাথা ন্যাড়া হয়ে শোক প্রকাশ করলাম।

এসম্পর্কে সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ভোলা সিং জানান, তিনি বিজেপির দালাল হয়ে কাজ করতেন। সিধাবাড়ি গ্রামটি দত্তক নিলেও গ্রামের জন্যে কিছুই করেন নি। বরং আমাদের বিধায়ক তারই দত্তক নেওয়া গ্রামে গিয়ে বহু কাজ করে এসেছেন। তিনি দত্তক নেওয়ার পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন যে তৃণমূলের লোকেরা কাজ করতে দিচ্ছেনা। তিনি আধা মন্ত্রী পদে ছিলেন তাও তিনি কাজ করেননি অথচ কাজ না করতে পারার বিফলতা তৃণমূলের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছিল।আসলে তিনি কোন কাজই করেন নি, কেবল মাত্র রাস্তায় কয়েকটা সোলার বাতি লাগানো ছাড়া।এখন তো শোনা যাচ্ছে তিনি নাকি বিজেপি ছেড়ে দেবেন। কেন ছাড়ছেন তা জানা নেই, তবে বিজেপি নেতাদের মধ্যেই অন্তর্দ্বন্দ্ব চলছিল সেকারনেও তিনি দল ছাড়তে পারেন। তিনি পদত্যাগ করার খবরে গ্রামের মানুষ মাথা ন্যাড়া করছে। যেভাবে কেউ মারা গেলে মাথা ন্যাড়া করে।

এবিষয়ে সিধাবাড়ি গ্রামের এক বিজেপি নেতা তীর্থ সেন জানান, বাবুল সুপ্রিয় আসার পর এই গ্রামে রাস্তা, নর্দমা, শৌচালয় থেকে শুরু করে মহিলাদের জন্য হস্ত শিল্পের প্রশিক্ষণ, পুরুষদের জন্য মাছ চাষের জন্য বিশেষ সুবিধা তিনি করেছিলেন। কিন্তু গ্রামের মানুষ যদি বলে এত কিছু পাবার পরেও কিছু হয়নি তাহলে তার মধ্যে নিশ্চই রাজনৈতিক রঙ লুকিয়ে আছে। বাবুল সুপ্রিয় আমাদের বড় দাদার মত ছিল আর থাকবেও।