জাতীয় লোক আদালতে প্রতিটি জেলায় বহু মামলার নিস্পত্তি
ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতেই সারা দেশ জুড়ে বসলো জাতীয় লোক আদালত। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেও ২৪ জুলাই জাতীয় লোক আদালত সংগঠিত হয়। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার সঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলায়ও জেলা আদালত ভবনে জাতীয় লোক আদালতের আটটি বেঞ্চ বসে। এখানে অষ্টম বেঞ্চে জেলা আইনি পরিষেবা কেন্দ্রের সচিব শুভঙ্কর বিশ্বাস এর নেতৃত্বে অন্যান্য বিচারকদের মধ্যে ছিলেন বর্ধমান বার এ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবী দীপালি প্রিয়ম্বদা, সমাজকর্মী এবং শিক্ষক তাপস কুমার পাল। এই বেঞ্চে এদিন ৯০০ টি মামলার শুনানি হয়েছে বলে জানা গেছে।
পূর্ব বর্ধমান জেলা আইনি পরিষেবা কেন্দ্রের সচিব শুভঙ্কর বিশ্বাস জানান, পূর্ব বর্ধমানে ৮ টি বেঞ্চে সদর এবং অন্যান্য মহকুমা আদালতের মোট সাড়ে পাঁচ হাজার মামলার শুনানি হয়েছে। বিদ্যুৎ, মোটর দুর্ঘটনা, ঋণ খেলাপি ইত্যাদি সংক্রান্ত ছোট খাটো মামলাগুলো দু'পক্ষকে সামনাসামনি বসিয়ে নিস্পত্তি করা হয়েছে।
পূর্ব বর্ধমান জেলার মতোই হাওড়া জেলা আদালতে বসেছিল জাতীয় লোক আদালত। জেলা আইনী পরিষেবা কেন্দ্রের পরিচালনায় ৫ জন বিচারবিভাগীয় বিচারকের নেতৃত্বে বেঞ্চ গুলি বসে। এনজিআর, বিভিন্ন ব্যাঙ্কের ঋণখেলাপীদের মামলা গুলির শুনানি চলে। হাওড়া জেলা আইনী পরিষেবা কেন্দ্রের অফিস মাস্টার প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন - " মামলার দ্রুত নিস্পত্তির জন্য বিএসএনএল সহ বিভিন্ন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সাথে ঋণখেলাপীদের আবেদন নিয়ে শুনানি চলে। সিংহভাগই নিস্পত্তি ঘটেছে এদিন"।
উল্লেখ্য, হাওড়া জেলা আদালতে জাতীয় লোক আদালতে বিচারকমণ্ডলীর তৃতীয় সদস্য হিসাবে মনোনীত হয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটির সম্পাদক ও বিশিষ্ট সমাজসেবী মোল্লা জসিমউদ্দিন। তিনি হাওড়া জেলা আদালতে চতুর্থ নম্বর বেঞ্চে বিচারক সৌগত রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে বেঞ্চের সদস্য ছিলেন। এদিন হাওড়া জেলা আদালতে তিনশোর বেশি মামলার শুনানি চলে। নিস্পত্তি হয়েছে দুশোর মত। তার মধ্যে চতুর্থ বেঞ্চে ৬০ টির মত মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে।