চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

নাবালিকা বিয়ে রুখতে ছাত্রীদের দুয়ারে পুলিশ প্রশাসন


 

নাবালিকা বিয়ে রুখতে ছাত্রীদের দুয়ারে পুলিশ প্রশাসন


অতনু হাজরা, জামালপুর : পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুরে নাবালিকা বিয়ে রুখতে বেরুগ্রাম অঞ্চলের আচার্য্য গিরিশ চন্দ্র বসু বিদ্যাপীঠে নবম, দশম ও একাদশ শ্রেণীর ছাত্রীদের ও তাদের অভিভাবক ও অভিভাবিকাদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করেন জামালপুর থানা। জামালপুর থানার পক্ষ থেকে সেকেন্ড অফিসার রতন দাসের নেতৃত্বে ছিলেন সাব ইন্সপেক্টর সৌরভ দত্ত, এ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর সঞ্জীব বর্মন, বিনয় কৃষ্ণ পাল। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র পাল, শিক্ষক বিপ্লব ঘোষ, জয়সিং মুর্মু, সঞ্জীব বাইন, মঙ্গল মুর্মু, অর্ণব ঘোষ ও শিক্ষিকা সুপর্ণা মিত্র ও কোহিনুর খাতুন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বেরুগ্রাম অঞ্চলের ভিলেজ পুলিশ মেহবুব হোসেন মল্লিক


 মূলত আজ পুলিশ অফিসাররা তিনটি বিষয় নিয়ে ছাত্রী ও অভিভাবকদের সাথে আলোচনা করেন অল্প বয়সে বিবাহ, সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ ও শিশু পাচার নিয়ে। এই তিনটি বিষয় নিয়ে ছাত্রীদের কি করনীয় তা বিস্তারিত ভাবে তাদের সাথে আলোচনা করেন। বিশেষ করে তাঁরা মোবাইল ফোনের ব্যবহারের ব্যাপারে বিশেষ করে সচেতন করেন। অযথা অচেনা কারোর সাথে ফেসবুকে বন্ধুত্ব না করা, নিজের ছবি বা নাম্বার অচেনা কাউকে না শেয়ার করা এবং কোনোভাবেই অচেনা কোনো ছেলের যার সঙ্গে হয়ত ফেসবুকে আলাপ তার প্ররোচনায় না পড়া। তাঁরা এটা বুঝিয়ে বলেন বাবা-মায়ের থেকে আপন পৃথিবীতে কেউ নেই। রাস্তা ঘাটে যেতে যেতে যদি কোনোরকম সন্দেহভাজন কিছু নজরে আসে যেমন কেউ হয়ত তাদের অনুসরণ করছে বা কটু কথা বলছে সাথে সাথেই থানায় যেন ফোন করে তারা জানায় এবং প্রাথমিক অবস্থায় কাছাকাছি কারোর সাহায্য নেয়। 


গ্রামে বা পাড়ায় যদি কোনো অচেনা লোকের যাতায়াত বাড়ে বা কাউকে বিশেষ ভাবে নজরে রাখছে বুঝতে পারলেই থানায় অথবা সিভিক ভলান্টিয়ার বা ভিলেজ পুলিশকে যেন তারা জানায়। এছাড়াও রাস্তা দিয়ে সাইকেল বা গাড়ি নিয়ে গেলে কিভাবে যেতে হবে বা কি নিয়ম মানতে হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করে দেন। এইভাবে পুলিশ প্রশাসনের ছাত্রীদের উজ্জীবিত বা সঠিক ভাবে গাইড করতে এগিয়ে আসায় গ্রাম বাংলার মেয়েরা যথেষ্টই উপকৃত হবে।জামালপুর থানার এই উদ্যোগ গ্রহণ ও তাঁর বিদ্যালয়কে এই বিষয়ে নির্বাচিত করার জন্য প্রধান শিক্ষক জামালপুর থানাকে অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। কোভিড পরিস্থিতিতে স্কুল বন্ধ থাকলেও ছাত্রীদের উপস্থিতি বেশ ভালোই ছিল। পুলিশ প্রশাসনের এই উদ্যোগের প্রশংসাই করছেন এলাকার মানুষ।