মফস্বলের বিদ্যালয়ে কম্পিউটার দিল স্টেট ব্যাঙ্ক
অতনু হাজরা, জামালপুর : গ্রাম বাংলার পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীরা বিশেষত যারা প্রথম প্রজন্মের পড়ুয়া তাদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে অর্থাৎ তারা যেন বর্তমান টেকনলোজিকে আশ্রয় করে শিক্ষিত হতে পারে সেই দিকে লক্ষ রেখে তাদের স্বাবলম্বী করতে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে বনবিবিতলা হাইস্কুলকে ৫ টি কম্পিউটার প্রদান করলো ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক। আজ স্টেট ব্যাঙ্কের দুর্গাপুর রিজিয়ন অফিস থেকে রিজিয়ন অফিসার বিভু প্রসাদ মিশ্র ও তাঁর সাথে ওই ব্যাঙ্কেরই সিনিয়র এসোসিয়েট গৌতম কুমার হাটি ও স্থানীয় সুরে কালনা স্টেট ব্যাঙ্কের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মৃত্যুঞ্জয় কুমার বনবিবিতলা হাই স্কুলে এসে নিজেরা সেই কম্পিউটারগুলি পৌঁছে দিয়ে যান।
বিদ্যালয়ের পরিবেশ ও প্রধান শিক্ষকের তৎপরতা সেই সঙ্গে সকল শিক্ষকের ব্যবহারে তাঁরা মুগ্ধ। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কুমার রায় তাঁদের পুরো বিদ্যালয় ঘুরিয়ে দেখান। এই প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্কুলের এই পরিকাঠামো দেখে তাঁরা বিস্মিত হন। বিভু প্রসাদ মিশ্র জানান, স্টেট ব্যাঙ্ক সারা বছরই এই ধরণের উন্নয়ন মূলক কাজ করেই থাকে। এবছর এই লকডাউনেও তাঁরা জামালপুরে ২টি স্কুলকে কম্পিউটার প্রদান করলেন। তারমধ্যে বনবিবিতলা হাই স্কুল ছাড়াও কালনার একটি প্রাইমারি স্কুলও আছে। তবে এই কম্পিউটার পাওয়ার ব্যাপারে তিনি প্রধান শিক্ষকের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কুমার রায় জানান, তিনি নিয়ম মেনেই স্থানীয় শুঁড়ে কালনা স্টেট ব্যাঙ্কে আধুনিক প্রযুক্তিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষিত করার জন্য কম্পিটার পাওয়ার ব্যাপারে আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদন তাঁরা হেড অফিসে পাঠিয়ে দেওয়ায় সেখান থেকে তাঁরা তাঁদের বিদ্যালয়কে ৫ টি কম্পিউটার প্রদান করেন। আর জন্য তিনি ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের রিজিয়ন অফিস ও অফিসারদের কৃতজ্ঞতা জানান।
তাঁর আমলে বিদ্যালয়ে এত উন্নতি এই কথা জিজ্ঞাসা করলে শ্যামল বাবু জানান, এটি সম্ভব হয়েছে তাঁর সকল সহকর্মী অর্থাৎ শিক্ষক- শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের জন্য। আর এ জন্য তিনি তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ জানান। আজ বিদ্যালয়ে উপস্থিত রতন ধারা, পীযুষ দাস, বাবলু ঘোষ,ৎবিপত্তারণ মন্ডল, শিবাজী কার্ফা, রাজীব সাহা, সুকান্ত মোহন্ত, রাজিয়া মন্ডল, ব্রততি রায়, সঞ্জয় দে, কৃষ্ণ সরেন, কৌশিক হাটি, সৌরভ দে, প্রসেনজিৎ বিশ্বাস, ইমরান মল্লিক, তনুশ্রী সাঁতরা, কৃষ্ণ চন্দ্র সাঁতরা প্রমুখ শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষা কর্মীরা সকলেই প্রধান শিক্ষকের প্রশংসা করেন। অতিমারিতে যেখানে বিদ্যালয় বন্ধ সেখানে প্রধান শিক্ষকের এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক- শিক্ষিকাদের মধ্যে বোঝাপড়া ও প্রধান শিক্ষকের উদ্যোগ শুধু বিদ্যালয়ের উন্নয়নেই নয় বিদ্যালয়ের যারা প্রাণ, সেই কচি কাঁচা শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নেও সাহায্য করবে।