চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

সিপিএমের বলিষ্ঠ নেতা বিজেপি হয়ে এবার তৃণমূলে


 

সিপিএমের বলিষ্ঠ নেতা বিজেপি হয়ে এবার তৃণমূলে



কাজল মিত্র, বারাবনি : বারাবনি বিধানসভায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যােগ দিলেন সালানপুর ব্লকের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মনােজ তেওয়ারি। তিনি দেন্দুয়া কল্যানেশ্বরী এলাকার  দীর্ঘদিনের শ্রমিক নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু বিজেপির হওয়ায় দলবদলের হিড়ীকে দীর্ঘদিনের সিপিএম এর সাথে থাকা নেতা মনোজ তেওয়ারী ২০২১ এর বিধানসভা ভােটের কিছুদিন আগেই দিলীপ ঘোষের হাত ধরে সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। বিজেপির পক্ষ থেকে তাঁকে কর্মী সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু বিধানসভা ভোট শেষ হতেই ফলাফল ঘোষণা হবার পরেই বারাবনির বিধায়কের কাছে তিনি তৃণমূলে যোগদান করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। আজ মনোজবাবু বিজেপি দলের সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন।

রবিবার দেন্দুয়া পঞ্চায়েতের লেফটব্যাংক কলোনির বিজেপির দলীয় কার্যালয় যেটি পূর্বেই রঙ বদল করে তৃণমূলের কার্যালয়ে রূপান্তরিত করা হয়েছে সেই কার্যালয়ে মনোজ তেওয়ারী বারাবনি বিধায়কের উপস্থিতিতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে প্রায় ৬০/৭০ জন বিজেপির সমর্থক নিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেন ।


এদিন মনোজ তেওয়ারীকে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করার কারণ প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান বিজেপিতে গিয়েছিলেন শ্রমিক সংগঠনের হয়ে কাজ করার জন্যে কিন্তু সেখানে থেকে শ্রমিক সংগঠনের হয়েও বিশেষ কার্যকরি ভূমিকা পালন করতে পারছিলেন না। কারন বিজেপিতে গিয়ে কাজ করার কোন সুযােগই তিনি পাননি। বারাবনি বিধানসভার বিজেপি নেতারা নিজেদের মধ্যেই গোষ্ঠীদ্বন্দের লড়াইয়ে মত্ত। সাধারণ মানুষ কি চাইছে সেদিকে বিজেপি দলটির কোনরকম খেয়াল ছিল নেই। তাছাড়া বারাবনি বিধানসভার ছােট - বড় সব নেতাই বিধায়ক হবার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন। অন্তত ৪০ জন বিধায়ক পদে আবেদনপত্র পাঠিয়েছিলেন মনােনয়ন পাওয়ার জন্য। এই অবস্থায় শ্রমিক সংগঠনের কাজ দেখাশােনা করার মতাে কোনাে রকম পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছিল না। আর তাই তিনি বারাবনি বিধায়ক ও যুবনেতা মুকুল এর কথা শুনে বিজেপি সঙ্গ ছেড়ে তৃণমূলে যােগ দেওয়ার মনস্থির করেন। তিনি বলেন, তার সাথে শতাধিক নেতা কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন মবিন খান ও রামচন্দ্র সাউ সহ কল্যানেশ্বরী এলাকায় বহু বিজেপির কর্মী।

এবিষয়ে বিজেপির জেলার যুব নেতা অরিজিৎ রায় জানান, বিজেপি এমন একটি দল যে আদর্শ নীতি মেনে চলে। কোন ব্যক্তি বিশেষ দল নয় তাই কোন ব্যাক্তি যদি দল ছেড়ে যায় তাতে বিজেপির কোন ক্ষতি হবে না বলে মনে করেন তিনি।

এদিন বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় জানান, মনোজ তেওয়ারী দেন্দুয়া অঞ্চলের বহু পুরোনো রাজনীতিক। তার এই অঞ্চলের শিল্প ও শ্রমজীবী মানুষের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আর তাই বিজেপিতে থেকে কাজ করতে না পারার ফলেই তিনি তৃণমূলে যোগদান করেন ।

এদিন এই যোগদান অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা সালানপুর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মহম্মদ আরমান, তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ভোলা সিং, দেন্দুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান রঞ্জন দত্ত, সদস্য চন্দন রজক, তৃণমূল নেতা শশী ভূষণ পান্ডে, ডি বাবলু, মান্নু সিদ্দিকী, জয়প্রকাশ সিং, বীর সিং, আশুতোষ তেওয়ারী, নরেন্দ্র খোসলা, বিজয় সিং, শঙ্কর ঘোষ সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।