Scrooling

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলেন বঙ্গতনয়া, ৮২তম ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের অরিজন্তি বিভাগে সেরা পরিচালকের খেতাব জয় করলেন চিত্রপরিচালক অনুপর্ণা রায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর শুভেচ্ছা। # রজতজয়ন্তী বর্ষে সংবাদ প্রভাতী পত্রিকা। সকল পাঠক-পাঠিকা বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি শুভেচ্ছা # বর্ধমানে জাতীয় সড়কে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় ১১ পুণ্যার্থীর মৃত্যু। মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর # UGC NET 2025-এ অল ইন্ডিয়া র‍্যাঙ্ক-১ করেছেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের পিএইচডি স্কলার নিলুফা ইয়াসমিন # উচ্চ মাধ্যমিকের পর নিটেও রাজ্যে প্রথম বর্ধমানের রূপায়ণ পাল। # ষষ্ঠ সিন্ধু জিব্রাল্টার জয় করে ইতিহাসের পাতায় সায়নী # 'দাদাসাহেব ফালকে' সম্মানে ভূষিত হলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী

বর্ষণে বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন, ভেঙেছে সেতু, সংকটে বহু মানুষ


 

বর্ষণে বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন, ভেঙেছে সেতু, সংকটে বহু মানুষ


কাজল মিত্র, পশ্চিম বর্ধমান : একটানা চার দিনের বর্ষণে পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। বার্নপুরের রিভারসাইডে অস্থায়ী সেতু ভেঙে যাওয়ার পর নৌকার মাধ্যমে দুই জেলার মানুষ পারপার করছেন। জানা গিয়েছে বার্নপুরের রিভারসাইড এলাকায় দামোদর নদীর উপর একটি অস্থায়ী সেতু ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার দামোদর নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ার কারণে অস্থায়ী সেতুটি ভেঙে যায়। এরফলে বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমান এই দুই জেলার মানুষদের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মানুষ সম্যসায় পড়েছেন। তবে শুক্রবার বাঁকুড়া থেকে বহু মানুষ নৌকা করে আসানসোল, বার্নপুরে কর্মসূত্রে এসেছেন।



এদিকে আসানসোল রেলপাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই জল বাড়তে শুরু করে গাঁড়ুই নদীতে এবং ওই নদীর জল দু'কূল ছাপিয়ে রেল পাড়ের অন্ততপক্ষে ৬ টি ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। প্রায় ২০০ টি পরিবার ঘর ছাড়া বলে জানা গিয়েছে। তাদেরকে এলাকার স্কুল এব কমিউনিটি সেন্টারে রাখা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে প্রতিবছরই গাঁড়ুই নদীতে প্লাবন আসে এবং এর কোন স্থায়ী ব্যবস্থা করা হয়নি।  নদীতে দীর্ঘদিন ধরেই আবর্জনা জমে তার নাব্যতা হারিয়েছে। অন্যদিকে বেআইনি নির্মাণের কারণে নদী ছোট হয়ে এসেছে ফলে বর্ষায় জল বাড়লেই জল উপচে পড়ে এবং এলাকাকে প্লাবিত করে।



আসানসোল ইসিএলের নরসমুদা কয়লাখনিও জলমগ্ন। এর জেরে খনিতে কোনো শ্রমিক নামতে পারেননি। কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। জানা গিয়েছে নরসমুদা কয়লাখনি সংলগ্ন এলাকায় প্রচুর অবৈধ কয়লা খনি রয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে সেই সমস্ত অবৈধ কয়লা খনির মুখ দিয়ে নরসমুদা কয়লাখনিতে জল ঢুকেছে। ঘটনাস্থলে ইসিএলের আধিকারিকরা পর্যবেক্ষণ করেছেন।