চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

সোস্যাল মিডিয়ায় পোষ্ট দেখে অসহায় প্রৌঢ়'র পাশে বিধায়ক




সোস্যাল মিডিয়ায় পোষ্ট দেখে  অসহায় প্রৌঢ়'র পাশে বিধায়ক  


কাজল মিত্র, সালানপুর : সোস্যাল মিডিয়ায় একটি পোষ্ট দেখে অসহায় এক প্রৌঢ়ের পাশে দাঁড়ালেন বিধায়ক। পশ্চিম বর্ধমান জেলার দেন্দুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ধনুডি গ্রামের ঘটনা। ওই গ্রামের অসহায় ৭০ বছর বয়সী রামলাল কিস্কু ওরফে হিরোহন্ডা। যিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে নিজের পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করেন। বর্তমানে শরীরে অক্ষম হয়ে পড়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে ভিক্ষা করতে গেলেও অতিমারির ভয়ে কোনো মানুষ ভিক্ষা দিতে চায়না। নিদারুণ সংকটের মধ্যে দিন যাপন করে চলেছেন। স্থানীয় কিছু মানুষ কোনো কোনো দিন চাল ও ডাল দিয়ে সাহায্য করে রামলাল বাবুর মুখে খাবার তুলেদেন। কিন্তু অনেক দিন না খেয়ে তাকে থাকতে হয়। তার এমন দূর অবস্থার কথা লেফট ব্যাংকের নিবাসী বিরজু মণ্ডল নামক এক ব্যাক্তি সোশ্যাল মিডিয়াতে তুলে ধরেন। সেই ভিডিও দেখতে পান বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি নির্দেশদেন সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ভোলা সিংকে। বলেন, রামলাল বাবুর বাড়ি গিয়ে তার অবস্থা দেখে নিতে। 


ভোলা সিংহের নির্দেশে বাথনবাড়ি ও সিদাবাড়ির তৃণমূল কর্মী বিমল গোরাই, অমর মণ্ডল ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সুশান্ত হেমরম সহ কিছু কর্মীরা মিলে বৃহস্পতিবার দিন রামলাল বাবুর বাড়িতে আসেন এবং তার বাড়িতে ১০ দিনের মত খাদ্যদ্রব্য তুলেদেন।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কর্মী বিমল গোরাই বলেন, বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়ের নির্দেশে সালানপুর ব্লকের সাধারণ সম্পাদক ভোলা সিং আমাদের বলেন রামলাল বাবু খুব অসুবিধার মধ্যে জীবন যাপন করছেন। তার বাড়িতে গিয়ে দেখা করতে এবং তার জন্য কিছু খাবারের ব্যবস্থা করতে।ওনার নির্দেশ অনুযায়ী আমরা সবাই মিলে তাদের বাড়ি এসেছি, ওনার যেকোনো অসুবিধায় আমরা সব সময় ওনার পাশে থাকবো। বিধায়কের এই রকম উদ্যোগে খুব খুশি রামলাল কিস্কু।