চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

লোকনাথ বাবার তিরোভাব দিবসে ফিরে দেখা 'পুণ্যভূমি বেরুগ্রাম'


 

লোকনাথ বাবার তিরোভাব দিবসে ফিরে দেখা 'পুণ্যভূমি বেরুগ্রাম'



অতনু হাজরা, বেরুগ্রাম : পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর থানার দামোদর তীরে ছোট্ট একটি গ্রাম বেরুগ্রাম। চারিদিক সবুজে ঘেরা পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে দামোদর নদ, এক অপূর্ব সৌন্দর্যময় স্থান। কথিত আছে এখানেই নাকি ত্রিলোকেশ্বর বাবা লোকনাথের পূর্ব জন্মের লীলাভূমি। আজ থেকে আনুমানিক প্রায় তিনশত বৎসর পূর্বে এই গ্রামে বন্দোপাধ্যায় পরিবারে "সীতানাথ" নামে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি ত্রিকালদর্শী মহাযোগী লোকনাথ ব্রহ্মচারী হয়ে উত্তর ২৪ পরগনার চাকলায় জন্মগ্রহণ করেন। এতথ্য তার আত্মকথা ও জীবনপঞ্জি থেকে জানা যায়। এই গ্রামে কলকাতার "লোকনাথ ডিভাইন লাইভ মিশন" এর প্রতিষ্ঠাতা শ্রীমৎ শুদ্ধানন্দ ব্রহ্মচারী ভাবাদর্শে অনুপ্রেরণায় ও বেরুগ্রাম পার্শ্ববর্তী গ্রামের মানুষজনদের সহায়তায় লোকনাথ বাবার পূর্বজন্মের লীলাভূমি শ্রীশ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর আশ্রম স্থাপন করা হয়েছে।

        এই আশ্রমে পূজা পাঠ ছাড়াও সমাজের সেবামূলক এবং গ্রামীণ উন্নয়নমূলক কাজ করে চলেছে। এছাড়াও ভবিষ্যতে এই বেরুগ্রামে অন্যান্য আধ্যাত্ম মহাপুরুষদের প্রতিকৃতি স্থাপন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা ভবিষ্যতে ভারতীয় ধর্মের এক মহামিলন তীর্থে রূপান্তরিত হবে।




   আজ ১৯ শে জ্যৈষ্ঠ লোকনাথ বাবার তিরোভাব দিবস। প্রত্যেক বছরের মতো এ বছরেও পূজা পাঠ হচ্ছে, হচ্ছে বিশ্বশান্তির জন্য হোম। তবে তা কোভিড বিধি মেনে। প্রত্যেক বছর বহুদূর থেকে যেসব মানুষ উপস্থিত হন সেটা এ বছর হচ্ছে না।হচ্ছে না বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ভক্তদের জন্য যে বিশাল ভোগের আয়োজন করা হতো তাও এবছর আর হচ্ছে না কোভিড এর কারনে। শুধুমাত্র বাবার বিশেষ পুজোই হচ্ছে বিশ্বশান্তির জন্য। মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয় গত বছরও করোনা পরিস্থিতির জন্য বাইরের পুজো নেওয়া বা ভক্ত সমাগম বন্ধ রাখা হয়েছিল।এবারেও তাই করা হয়েছে। না হলে আজকের দিনে হাজার হাজার লোক সমাগম হত। বাবার কৃপায় এই করোনা মহামারী দূর হোক ও সকলে সুস্থ্য থাকুন এটাই প্রার্থনা করছেন তাঁরা।