Scrooling

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলেন বঙ্গতনয়া, ৮২তম ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের অরিজন্তি বিভাগে সেরা পরিচালকের খেতাব জয় করলেন চিত্রপরিচালক অনুপর্ণা রায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর শুভেচ্ছা। # রজতজয়ন্তী বর্ষে সংবাদ প্রভাতী পত্রিকা। সকল পাঠক-পাঠিকা বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি শুভেচ্ছা # বর্ধমানে জাতীয় সড়কে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় ১১ পুণ্যার্থীর মৃত্যু। মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর # UGC NET 2025-এ অল ইন্ডিয়া র‍্যাঙ্ক-১ করেছেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের পিএইচডি স্কলার নিলুফা ইয়াসমিন # উচ্চ মাধ্যমিকের পর নিটেও রাজ্যে প্রথম বর্ধমানের রূপায়ণ পাল। # ষষ্ঠ সিন্ধু জিব্রাল্টার জয় করে ইতিহাসের পাতায় সায়নী # 'দাদাসাহেব ফালকে' সম্মানে ভূষিত হলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী

কোভিড আক্রান্তদের গরম দুধ



কোভিড আক্রান্তদের গরম দুধ


ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট সংবাদ প্রভাতী : আজ বিশ্ব দুগ্ধ দিবস। ২০০১ সালে বিশ্ব খাদ্য হিসাবে দুধের গুরুত্বকে বোঝাতে জাতি সংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এই দিনটি চালু করেছে। বর্তমান অতিমারি সময়ে কোভিড আক্রান্তদের জন্য দুধের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার বিশ্ব দুগ্ধ দিবসে একটি বিশেষ কর্মসূচির সূচনা হলো বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কোভিড আক্রান্ত মানুষেরা যে ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন তাদের কাছে এক গ্লাস করে গরম দুধ পৌঁছে দেওয়া হবে। আজ থেকে দশদিন বর্ধমান হাসপাতালে এই কর্মসূচিতে দুধ পৌঁছে দেবে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা "বর্ধমান ওয়েভ"। 

বর্ধমানের সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন "বর্ধমান ওয়েভ" এর উদ্যোগে এই কর্মসূচির সূচনা হল আজ। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে "মিল্ক ওয়েভ"। কোভিড পরিস্থিতিতে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত আকারে অনুষ্ঠান হয়। উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার ডাঃ কুণালকান্তি দে সহ ডাঃ শৈলেন প্রামাণিক, ডাঃ কৌস্তভ নায়েক, বর্ধমান ওয়েভের সভাপতি পার্থ চৌধুরী, সম্পাদক অনির্বাণ হাজরা সহ অন্যান্য সদস্যরা। বড়শুলের দুগ্ধ সমবায়ের পক্ষে পিন্টু ঘোষ ও সমাজসেবী পল্লব দাস, শিক্ষক জয়ন্ত বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বিশিষ্ট বাচিকশিল্পী শ্যামাপ্রসাদ চৌধুরী। 




পিন্টু ঘোষ জানান, এই প্রকল্পে তারা দশদিন দুধ পৌঁছে দেবেন। সংস্থার সম্পাদক অনির্বাণ হাজরা জানিয়েছেন, তারা সারা বছর নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন। বর্ধমানের মানুষের আশীর্বাদ পেলে তারা আরো ভাল কাজ করতে পারবেন।হাসপাতালের ডেপুটি সুপার ডাঃ কুণালকান্তি দে জানান, এই প্রকল্পে এগিয়ে আসার জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে অভিনন্দন। আরো অনেকে এগিয়ে এলে এই রোগের বিরুদ্ধে আরো ভালভাবে লড়াই করা যাবে। অন্যান্য চিকিৎসকরাও বলেন, পুষ্টিকর খাবার এই রোগীদের খুব প্রয়োজন।হাসপাতালে থাকাকালীন তারা তা পেয়ে যাবেন।

জানা গেছে, হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীদের এই দুধ দেওয়া হবে। যদি সংকুলান হয় তাহলে সারি ওয়ার্ডের রোগীদেরও দেওয়া হবে।

এই কর্মসূচিতে সাহায্য করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া সহযোগিতা করবেন ক্যান্টিন কর্মীরা। আয়োজকদের পক্ষ থেকে  জানানো হয়েছে সম্ভব হলে আরো কিছুদিন এই কর্মসূচি বাড়ানো যায় কী না সেটা তারা ভাববেন।