কোভিড যোদ্ধা রেড ভলেন্টিয়ার্স
অতনু হাজরা, জামালপুর : ভোটের লড়াই-এ শূন্য। তাতে কি ? কমরেড মানেই পাশাপাশি থাকা, কমরেড মানেই সাথী। ২ মে ভোটের ফল বেরোনোর পর দেখা গেল বামপন্থীরা একটা আসনও পায়নি। তাতে কি ? মানুষের পাশে থাকাটাই তাদের কর্তব্য। তাইতো ৪ মে এক থ্যালাসেমিয়া রুগী কে রক্ত দিতে এগিয়ে এলো রেড ভলেন্টিয়ার এর সদস্য পিকু মান্ডি। তারপর এই করোনার অতিমারি অবস্থায় মানুষ যখন দিশেহারা, যখন নিজের সন্তান তার কোভিড আক্রান্ত বাবার পাশে থাকতে অস্বীকার করে, ঠিক তখনই দেবদূত হয়ে আগমন রেড ভলেন্টিয়ার দের। সমগ্র জামালপুর বিধানসভার মানুষের পাশে থাকার জন্য খোলা হয়েছিল হেলপ লাইন। আর তার মাধ্যমেই প্রচুর মানুষ যোগাযোগ করছেন। ঠিক তেমনই জামালপুর থানার পাঁচরা গ্রামের বাসিন্দা রবি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়, পেশায় হাইকোর্টের আইনজীবী। ওনার বাবা গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় বয়স জনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন, ওনার অক্সিজেন এর ব্যবস্থা করে দেন রেড ভলেন্টিয়ার এর সদস্যরা।
রাত ১১টা নাগাদ ফোন আসে কোলকাতার ডানলপ থেকে, পরিচয় দেন ওনার নাম সৌরভ, ওনার মাসি জামালপুর থানার আঝাপুর গ্রামে থাকেন। নাম-পুষ্প ভট্টাচার্য (৪৬)। উনি কোভিড রোগি, ওনার খুব শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তাই জরুরি প্রয়োজন অক্সিজেন। উনার পরিবারের হাতে অক্সিজেন তুলে দেওয়া হয় রাত ২টো নাগাদ।
জৌগ্রাম এর বাসিন্দা চন্দ্র নাথ মুখার্জী, কোভিড আক্রান্ত তারও খুব শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল, তাই অক্সিজেন প্রয়োজন। রেড ভলেন্টিয়ার এর সদস্যরা রাত ১০ টা নাগাদ ওনার বাড়িতে অক্সিজেন নিয়ে পৌঁছে যান।
আঝাপুর গ্রামের সোমনাথ ভট্টাচার্য কোভিড আক্রান্ত, বাড়িতে মা -বাবা নেই, ওনারা আছেন বর্ধমান হাসপাতালে। তাতে কি, রেড ভলেন্টিয়াররা পাশে আছে। রাত ৮ টা নাগাদ প্রয়োজনীয় খাবার নিয়ে হাজির হয় রেড ভলেন্টিয়ার এর সদস্যরা। ।
কোলসরা গ্রামের বাসিন্দা বগলা প্রসাদ পাল ইনিও অসুস্থ, অক্সিজেন প্রয়োজন -রাত ১২টা নাগাদ রেড ভলেন্টিয়ার এর সদস্যরা অক্সিজেন নিয়ে ওনার বাড়িতে হাজির হয়ে গেলেন।
এর পাশাপাশি কারো ওষুধ, কারো অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দিতে সদা ব্যস্ত রেড ভলেন্টিয়ার এর সদস্যরা।