চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

২৫ শে বৈশাখের শ্রদ্ধার্ঘ্য


 

২৫ শে বৈশাখের শ্রদ্ধার্ঘ্য



প্রচ্ছদ স্কেচ ••••••••••••••••••••


🔸 সুমিতা নাথ


লিখেছেন ••••••••••••••••••••••


🔸 সুরমান আলি মল্লিক

🔸 অন্তরা দাঁ

🔸 অভিজিৎ মিত্র

🔸 অলক দাঁ

🔸 শীতল চট্টোপাধ্যায়

🔸 অতনু হাজরা

🔸 শুভেন্দু সাঁই





ঠাকুর, তোমায় বড় দরকার আজ


সুরমান আলি মল্লিক


এতদিন আকাশটা নীলই ছিলো 

বৈকালিক সূর্যালোকে গোটা পশ্চিম 

মায়াবী রঙে হয়ে উঠতো লাল

ধূসর মাটির বুক চিরে 

সবুজ আত্মীয়তায় অনাবিল আনন্দে

মন গাইতো রবীন্দ্র সঙ্গীত.... 


কি যে হোলো.... 

আকাশটাই ক্রমশ 

দুভাগ হয়ে পড়ছে দিনকে দিন 

ভোরের শিশির শরীরে 

বিষাক্ত অক্সিজেনে হাঁসফাঁস 

করছে মানুষ.... সর্বোপরি সমাজ, সংস্কার.... 


ঠাকুর একটা নতুন গান বাঁধা যায় কি

এই মহা বিপদের দিনে.....


##################



হে ঈশ্বর, প্রেমিক আমার! 


অন্তরা দাঁ


এই কৃষ্ণগহ্বরে হারিয়ে যেতে যেতে 

অসংযত প্রেমিকার মতো 

তোমার গানে, কবিতায়, চিত্রে, ভাস্কর্যে

একবার মুখ রাখি, একবার বুক! 


অনিশ্চিত বেঁচে থাকা অবিরাম 

লুকোচুরি খেলে যায় করতলে 

এই যে ভীষণ বেদনা, দারুণ সময় 

লিখে রাখে ক্রান্তিকাল 

নিরুদ্ধার কোনো অজানা খাতায় 

দ্রোহভেজা রাতে। 


তুমি শুধু একা মিলন বিরহ ছাপিয়ে 

শোক তাপে অবিচল প্রাণ

রেখে গেছো হাতখানি মাথার ওপর তাই, হেঁটে যাই অনন্তের পথে অবিচল 

হে ঈশ্বর, প্রেমিক আমার। 


###################



নির্বোধ পঁচিশ 


অভিজিৎ মিত্র


আকাশে এখনো ভাইরাসের গন্ধ

                                    আগুন জ্বলবে 

কোথায় দাঁড়িয়েছি বুঝিনি

পেটে রুটির স্বাদ মনে নেই

অক্সিজেন থমকে আছে

শুধু জানি রঙের মিছিলে আমার অধিকার

এ জন্ম কবে কখন হেঁটে ভ্যানিশ হবে 


কোথায় জীবাণুর আদিম থাবা ঘাড়ের ওপর

ধীরে ধীরে শক্ত হচ্ছি

                       জীবনে প্রশ্বাস ছাড়া কিছু চাই না

                       হঠাৎ শ্বাসহীন আগুন জ্বলবে 

আমি আমরা দেখব না

চুল্লী নিভবে না লাইন লম্বা হতে হতে দিল্লি অব্ধি 

ভোর হলনার দেশে রাজার নীতি নয়

                                       লাইনে লাশ দাঁড়াবে

একশ চল্লিশ কোটির আমি 

ভাইরাসের হাতে মুখোশ-হীন ওটু-হীন

                   বৈশাখের কবিতাখাতা তুলে দিচ্ছি


একশ বছর পরেও সেই কবিতা

                         হয়ত কেউ কেউ পঁচিশ


###################



কবিগুরু স্মরণে 


অলক দাঁ 


কবি গুরুর জন্ম দিন

উত্সবের প্রাণ

রবীন্দ্রনাথ বিশ্ব কবি 

বাঙালীর মান। 

ছোট দের বড় দের

কবিতা গান ছড়া 

বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে আছে 

সঙ্গীতের ধারা । 

নোবেলজয়ী রবি ঠাকুর 

ভারতবাসীর গর্ব

বীরভূমে গড়েন তিনি 

নতুন শিক্ষা পর্ব । 

তাঁর সৃষ্ট পাঠশালা আজ

বিশ্ব ভারতী নামে

দেশবিদেশের ছাত্র ছাত্রী

কবি গুরুর ধামে।   

শান্তির নিকেতনে 

উত্সব বারোমাস

পলাশবন ছাতিম তলায় 

বইছে তোমার শ্বাস।।


###################



বহমান


শীতল চট্টোপাধ্যায়


রাঙা ভোর ছুঁলে রাঙা মাটি চায়

বাতাস বাউলে রবি গান গায় ,

রবি নাচ জাগে ঝরা পাতা পা'য়

রবি অবয়ব ফোটায় ছায়ায় ৷


গাছ ছাউনিতে পাঠশালা খোলা

শিশুদের মনে রবি পাঠ দোলা,

দিদিমনি বলে- আজ শুধু আঁকো

রবীন্দ্রনাথ ও জোড়াসাঁকো ৷


আশ্রমবাসি মুখে নিয়ে হাসি

কন্ঠে রবির 'ওরে গৃহবাসি',

রবিরই গড়া 'বীরপুরুষেরা'

মা'কে রাখে আজও 'খোকায়' ঘেরা ৷


দেখা যায়না তবু বোঝে মন

ঝোড়ো হয় যেন খোয়াইয়ের বনক,

বোশেখী কোপাইয়ে অদৃশ্য বান

পঁচিশে বোশেখ হয় বহমান ৷


###################



রবি কবি


অতনু হাজরা


বিশ্বকবি বিশ্বকবি

রবীন্দ্রনাথ নাম।

নিজের সৃষ্টিতে অমর তুমি

এই বিশ্বধাম।

ছড়া কিংবা কবিতা

উপন্যাস বা গল্প।

আছে নাটক আছে যে গান

সংখ্যা নয়কো অল্প।

অন্যতম শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি

গীতাঞ্জলি নাম।

এটি লিখেই পেলে তুমি

নোবেল সম্মান।

গোটা বিশ্বে চিনিয়েছিলে

আমাদের ভারতবর্ষকে।

চিরজীবী হৃদয়ে তুমি

প্রণাম নতমস্তকে।


###################



হে কবি...


শুভেন্দু সাঁই


আজ আমরা বড় অসহায় !

রৌদ্র তপ্ত বৈশাখে। 

মহামারির ছোবলে, কুঁকড়ে মানবসমাজ, 

এর মাঝে তোমাকেই আঁকড়ে থাকা চাই..

তুমিই প্রেরণা, তুমিই সাহস।

তোমার বাণীতে, কবিতায়

দিন গুজরাণ। 

একলাই চলছি, সামাজিক দুরত্বে। 

তবুও ভয় ! ভয়াবহতার ছবি।

আজও ভরসা প্রাণের কবি।

হে কবি !

মানবতার জয়গান, গাইতে হবে।

বাংলার জয়গান গাইবো মোরা...

সব বাধা টপকে যাবেই

হাসবো মোরা সুদিনের পথে।

২৫ শে বৈশাখ...

যাত্রা শুরু এদিন থেকেই।


######################