চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

পূর্ব বর্ধমানে জাতীয় তপশীলি কমিশনের চেয়ারম্যান ও প্রতিনিধি দল



পূর্ব বর্ধমানে জাতীয় তপশীলি কমিশনের চেয়ারম্যান ও প্রতিনিধি দল


অতনু হাজরা, জামালপুর : পশ্চিমবঙ্গে দলিত সম্প্রদায়ের উপর সন্ত্রাস চলছে এই অভিযোগের ভিত্তিতে দুদিনের রাজ্য সফরে এসেছেন জাতীয় তপশীলি কমিশনের চেয়ারম্যান বিজয় সাম্পলা সহ এক প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন জাতীয় তপশীলি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার। আজ তাঁরা পূর্ব বর্ধমান জেলার দুটি এলাকা পরিদর্শন করেন। আগামীকাল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় যাবেন। নির্দিষ্ট সূচি অনুযায়ী আজ প্রথমে জাতীয় তপশীলি কমিশনের প্রতিনিধি দল পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর ব্লকের নবগ্রামে বিজেপি শক্তিকেন্দ্র প্রমুখের বাড়িতে যান। ভোটের গণনার পরদিনই রাজনৈতিক হিংসায় মৃত্যু হয়েছে কাকলি ক্ষেত্রপালের। বৃহস্পতিবার সেই পরিবারের সাথে কথা বলার জন্যই আসেন। তাঁকে অভ্যর্থনার জন্য উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা, পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন, এসডিপিও আমিনুল ইসলাম, সি আই শ্যামল চক্রবর্তী, জামালপুর ব্লকের বি ডি ও শুভঙ্কর মজুমদার, জামালপুর থানার অফিসার ইন চার্জ মিঠুন কুমার ঘোষ সহ অন্যান্যরা। 




এলাকায় মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। তপশীলি কমিশনের চেয়ারম্যান আধিকারিকদের সাথে কথা বলে কাকলি ক্ষেত্রপালের বাড়িতে যান। যদিও বাড়িতে কেউই ছিলেন না। তিনি অভিযোগ জানান এখানে একটা ভয়ের পরিবেশ করে রাখা হয়েছে। এখান থেকে তাঁরা চলে যান বর্ধমানে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় ওই গ্রামেই আরও একজন তপশীলি যিনি তৃণমূল কর্মী বিভাস বাগ তাঁর বাড়িতে গিয়ে বাড়ির লোকের সাথে দেখা করা থেকে বিরত থাকলেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেখানে রাজনৈতিক হিংসায় মৃত সকল মানুষ সে যে দলেরই লোক হোক না কেন তাঁকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবার ঘোষণা করে রাজধর্ম পালন করেছেন। 




সেখানে জাতীয় কমিশনের প্রতিনিধি দল তৃণমূল কর্মীর বাড়ি যাওয়া থেকে বিরত থাকলেন। এর মধ্য দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে রাজনীতির অভিযোগ করেন বিজেপির বিরুদ্ধে আজ কেন্দ্রীয় টিম তাতেই সিলমোহর মেরে গেলেন।