চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস, কৃষি দপ্তরের সতর্ক বার্তা


 

ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস, কৃষি দপ্তরের সতর্ক বার্তা


ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। যা ধীরে ধীরে ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হতে পারে। সমুদ্র থেকে জলীয় বাষ্প শুষে সাইক্লোনের রূপ নিতে পারে। আবহাওয়া দপ্তরের খবর, "যশ" নামে এই ঘূর্ণিঝড় প্রাথমিক ভাবে সুন্দরবনে আছড়ে পড়তে পারে। তারপর অভিমুখ বদলে ঢুকতে পারে বাংলাদেশে। কিন্তু ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলেই ডরায়। গত বছর ১৯ মে সুপার সাইক্লোন আম্ফানের তাণ্ডব দেখেছিল পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, যশের প্রভাব তার থেকেও বেশি হতে পারে।



আর এই ঘূর্ণাবর্তের প্রারম্ভিক প্রভাবে আগামী কয়েকদিন বিকেলের দিকে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।

এদিকে মে মাসে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাসে রাজ্যের মানুষ আশঙ্কিত। ২০২০ সালে ১৯ মে একদিকে লকডাউন অন্যদিকে আম্ফান। এক ভয়ঙ্কর ছবি মানুষের সামনে ভাসছে। ফের লকডাউনে সেই স্মৃতি উসকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় "যশ"। দিল্লি মৌসম ভবনের আবহাওয়া বিষয়ক পূর্বাভাসে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে।




ইতিমধ্যে আজ রাজ্যের কৃষি দপ্তরের পক্ষ থেকে নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কিত সতর্কীকরণ বার্তা দেওয়া হয়েছে রাজ্যের কৃষকদের জন্য। আঞ্চলিক আবহাওয়া কেন্দ্র কলকাতা থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ২২ শে মে উত্তর আন্দামান সাগর ও মধ্য-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। যা ধীরে ধীরে ঘণীভূত হয়ে পরবর্তী ৭২ ঘন্টায় একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ২৬ মে সন্ধ্যা নাগাদ উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে ২৫ শে মে সন্ধ্যা থেকেই হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত এবং কোনো কোনো এলাকায় ভারী বর্ষণের ও সম্ভাবনা রয়েছে।