তৃণমূলের শহীদ নেতার স্মরণানুষ্ঠান
অতনু হাজরা, জামালপুর : পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুরের জারগ্রাম পঞ্চায়েতের মরাবাঁধ গ্রামে ১৯৯৮ সালের ৩১ শে মে সিপিএমের হার্মাদ বাহিনীর হাতে শহীদ হয়েছিলেন তৃণমূল কর্মী ফিরদৌস রহমান। পঞ্চায়েত ভোটের ফল বেরোবার পর তৃণমূল ওই এলাকায় জয়লাভ করার পরই সিপিএমের হার্মাদ বাহিনী মাচায় বসা অবস্থায় তাকে খুন করে। সেখানে ছুটে আসেন এখনকার মুখ্যমন্ত্রী তখনকার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তৈরি হয় তাঁর উদ্দেশ্যে শহীদ বেদী।প্রতিবছর এই দিনে মরাবাঁধ এলাকায় তাঁর শহীদবেদীতে মাল্যদান করে স্মরণ সভা করা হয়। আজও জামালপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মরাবাঁধ গ্রামে ফিরদৌস রহমানের স্মৃতির উদ্দেশ্যে স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন জামালপুরের বিধায়ক আলক কুমার মাঝি, জামালপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মেহেমুদ খান, ব্লকের যুব তৃণমূল সভাপতি ভুতনাথ মালিক, মহিলা তৃণমূলের নেত্রী মিঠু মাঝি সহ পঞ্চায়েত প্রধান, উপ প্রধান এবং এলাকার কর্মী বৃন্দ। প্রথমে শহীদ বেদীতে মাল্যদান করেন উপস্থিত নেতৃবৃন্দ।
পরে দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিধায়ক অলক কুমার মাঝি। তারপর তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে নীরবতা পালন করা হয়। সকল নেতৃবৃন্দ ফিরদৌস রহমানের বাড়িতে গিয়ে তাঁর মায়ের সাথে কথা বলেন। অলক কুমার মাঝি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সকল শহীদদেরকেই সম্মান ও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। সেই হিসাবে তাঁর প্রতিনিধি বা সৈনিক হিসাবে তাঁরা আজ এই মরাবাঁধে এসে ফিরদৌস রহমানের স্মৃতির উদ্দেশ্যে স্মরণসভায় সমবেত হন। তিনি জানান, তিনি দিদির কবিতায় পড়েছিলেন আমি ফিরদৌসের মা। আজ চাক্ষুষ করলেন। মেহেমুদ খান, বলেন ফিরদৌসকে কোন দিনই ভোলা যাবে না। এই শহীদের রক্তের বিনিময়েই আজ তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায়। তাঁর অপূর্ণ স্বপ্ন তাঁরাই পূরণ করবেন। ভুতনাথ মালিক বলেন, "ফিরদৌস রহমান অমর শহীদ। নির্মম ভাবে তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল। এঁদের মত শহীদদের রক্তের বিনিময়ে আজ তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছে"। তিনি ফিরদৌস রহমানের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।