চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

পূর্ব বর্ধমান জেলায় ভোটপরবর্তী রাজনৈতিক হিংসার বলি চার


 

পূর্ব বর্ধমান জেলায় ভোটপরবর্তী রাজনৈতিক হিংসার বলি চার


ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : পশ্চিমবঙ্গে ভোটের ফল ঘোষণা, তারপরই রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক হিংসা। যদিও মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দলের কর্মীসমর্থকদের কোভিড পরিস্থিতিতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ও বিজয় মিছিল না করতে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও কিছু কিছু জায়গায় রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটছে।পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না ও জামালপুরের নবগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক হিংসায় প্রাণ গেল চার জনের।নবগ্রামে এলাকার তৃণমূল কর্মীরা জানান ফল বেরোবার পর তারা আজ আবির মেখে সকলে মিলে একজায়গায় আনন্দ করছিলেন, ঠিক সেই সময় বিজেপির কিছু কর্মী সশস্ত্র অবস্থায় তাদের আক্রমণ করে। অপরদিকে বিজেপি অভিযোগ করে যে তাদের কর্মীর মা কাকলি ক্ষেত্রপালের উপ আক্রমণ চালায় তৃণমূলের ছেলেরা। তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে জামালপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। 




এই সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়।তাদের জামালপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় তাদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে শাজাহান শাহ ও বিভাস বাগের মৃত্যু হয়। যারা ছিলেন তৃণমূল সমর্থক। এই নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ালে সেখানে প্রচুর পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়।




 তৃণমূল কংগ্রেসের জামালপুর ব্লক সভাপতি মেহেমুদ খান জানান তাদের দলের কর্মীরা শান্তিপূর্ণ ভাবেই ওখানে দলের জয়ের জন্য আবির মেখে আনন্দ করছিল।বিজেপি থেকেই আক্রমণ করে তাঁদের দুজন কর্মী সমর্থককে মেরে ফেলা হলো। তাঁরা প্রশাসনের সাহায্য নেবেন দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেছেন তিনি। এছাড়াও ব্লকের দলীয় কর্মী সমর্থকদের শান্ত ও সংযত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কোনোরকম বিজয় মিছিলও করতে বারন করেছেন।

অন্যদিকে রায়নায় বিজেপির অতর্কিত আক্রমণে নিহত হয়েছেন তৃণমূল কর্মী গনেশ মালিক (৫৫)। নিহতের বাড়ি রায়না থানার সমসপুর গ্রামে। তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ রাতের অন্ধকারে অতর্কিতে আক্রমন চালায় বিজেপির গুন্ডারা। লোহার রড, বাঁশ দিয়ে আক্রমন চালানো হয় বেশ কয়েক জনের উপরে। ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে।