চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

জামালপুরে ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ছাড়া আর কোন কোন অঞ্চলে ভ্যাকসিন ?




জামালপুরে ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ছাড়া আর কোন কোন অঞ্চলে ভ্যাকসিন ?


অতনু হাজরা, জামালপুর : করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে গোটা ভারতবর্ষে। কম বেশি সব রাজ্যই হিমশিম খাচ্ছে এর মোকাবিলায়।তার সঙ্গে রয়েছে ভ্যাকসিনের অপ্রতুলতা।ভ্যাকসিনের চাহিদার থেকে জোগান অনেক কম। এই পরিস্থিতিতে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে জামালপুর ব্লক স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ ঋত্বিক ঘোষ আমাদের জানালেন জামালপুর ব্লকে ভ্যাকসিনের ব্যাপারে। প্রথমেই তিনি আমাদের কাছে স্বীকার করে নেন জামালপুরে যে পরিমান ভ্যাকসিনের প্রয়োজন সেই তুলনায় জোগান অনেক কম। কিন্তু যেটুকু ভ্যাকসিন তিনি হাতে পাচ্ছেন তাই দিয়েই সর্বোচ্চ পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।তিনি জানান জামালপুর এক বিশাল বড় ব্লক, স্বভাবতই ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য ব্লকের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ এসে ভিড় করছেন। হয়তো সকলকে দেওয়া যাচ্ছে না। অনেককেই ফিরে যেতে হচ্ছে তার জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।তিনি সকলকে আশ্বস্ত করে বলেন, ভ্যাকসিনের জোগান বাড়লে এই সমস্যা থাকবে না। কোনো দিন ভ্যাকসিন দেওয়া বন্ধ থাকলে তিনি আগাম হাসপাতাল চত্বরে ফ্লেক্স টাঙিয়ে সাধারণ মানুষকে জানিয়ে দেবার চেষ্টা করছেন। যাতে অযথা কাউকে এসে ফিরে না যেতে হয়। আজ তিনি আমাদের আগামী দুদিনের জামালপুরে ভ্যাকসিন কোথায় কিভাবে দেওয়া হবে তা জানান। তিনি বলেন মানুষের সমস্যার কথা মাথায় রেখেই ব্লকের বিভিন্ন স্থানে ক্যাম্পের মাধ্যমে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। তিনি বলেন মানুষ যাতে নিজের এলাকায় ভ্যাকসিন পান সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত জামালপুরে ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অধীনে যে উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো আছে সেখান থেকেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। আজ চক্ষণজাদীতে ১০০ জনকে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়। এছাড়াও তিনি আমাদের জানিয়ে দেন আগামী কাল জামালপুর, চকদিঘি ও নবগ্রাম এই তিন জায়গাতে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।এবং আগামী পরশু জামালপুর ও চক্ষণজাদীতে ক্যাম্প করে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। হাসপাতালের পক্ষ থেকে তা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়াও হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই কমপক্ষে ১০০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ ঋত্বিক ঘোষ জানান। এই কোভিড পরিস্থিতিতে তিনি জামালপুরের মানুষের উদ্দেশ্যে জানান, অযথা কেউ ভয় পাবেন না। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে কেউ বেরোবেন না, মুখে মাস্ক পড়তে হবে, বার বার হাত স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার ও নির্দিষ্ট দূরত্ব বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন। কোনো অবস্থাতে সমস্যা হলে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগাযোগ করতে বলেন।