চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

আউশগ্রাম পুলিশের রাডারে সাঁটুল, বেআইনি বোমা বারুদ মজুতের অভিযোগ


 

আউশগ্রাম পুলিশের রাডারে সাঁটুল, বেআইনি বোমা বারুদ মজুতের অভিযোগ


নিজস্ব সংবাদদাতা, আউশগ্রাম : আউশগ্রাম থানার ছোড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পক্ষ থেকে, শনিবার একটি স্বত্বঃপ্রণোদীত মামলা রুজু করা হয়েছে অমরপুরের বিজেপি ঘনিষ্ঠ, প্রাক্তন তৃণমূল নেতা প্রশান্ত শীল ওরফে সাঁটুলের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের থেকে বহিষ্কৃত এই নেতার রামনগরের ছোড়া গ্রামের মোড় থেকে ভূঁয়েড়া যাওয়ার পথে একটি পরিত্যক্ত গোডাউন রয়েছে। সেই গোডাউনেই অবৈধ বোমা ও বারুদ এবং বাজি মজুতের অভিযোগ। স্থানীয়সুত্রে আরও জানা যায়, ভূঁয়েড়া গ্রামের এই দুঁদে সাঁটুলের নামে একাধিক পুরোনো মামলা রয়েছে। আউশগ্রাম থানার অমরপুর অঞ্চল তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি গোলাম মোল্লা বলেন, "একাধিক দল বিরোধী কাজের জন্য সাঁটুল ওরফে প্রশান্ত শীলকে আমরা দল থেকে বহিষ্কার করি, প্রায় এক বছর আগে। তার নামে একাধিক হত্যা ও হামলার মামলা রয়েছে। যেমন আউশগ্রাম পি এস, কেস নাম্বার ২৭২/১৪ এপ্রিল ২০১৪ সালে বনমালী সেখ খুনের মামলায় অভিযুক্ত এই সাঁটুল শীল। একই সালের ১৩ এপ্রিল, কেস নাম্বার ২৭১ আউশগ্রাম থানার ভূঁয়েড়া গ্রামের আমির সেখের মাথায় গুলি ও মালেক সেখের হাতে গুলি করার মামলাতেও অভিযুক্ত প্রশান্ত শীল ওরফে সাঁটুল। বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালানোরও অভিযোগ রয়েছে তার নামে। সিপিএম এ থাকতে, তার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ রয়েছে। পরে আমাদের দলে আসে। এবং নির্বাচনের আগে সে বিজেপির সঙ্গে আঁতাত করে ভোট করিয়েছে। এখন সে বিজেপিই করে।"

যদিও বিজেপি সূত্রে দাবি, "সাঁটুল শীল বিজেপি-র কর্মী বা কোনো নেতৃত্বের পদে নেই।" তবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল কি না, জিজ্ঞেস করা হলে এড়িয়ে যান।





পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে নেমে জানতে পারে, প্রশান্ত শীল নামের এই ব্যক্তি ওই পরিত্যক্ত গোডাউনে প্রচুর বিস্ফোরক জমা রেখেছিল। গোডাউনে রয়েছে প্রচুর বেআইনি বাজীও। পুলিশ জানায়, এ-সব নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করতেই আগাম মজুত করা হয়েছিল কি না তা তদন্ত করা হবে। তবে সমস্ত বাজি ও বারুদ আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। অভিযুক্ত গ্রেফতার হলেই আসল সত্য সামনে আসবে বলে জানান ছোড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আই সি।

শনিবার রাতে এই গোডাউনে হঠাৎই অগ্নিসংযোগ হয়। তবে আগুন লাগার কারণ এখনও ধোঁয়াশা পুলিশের কাছে। এলাকার মানুষরা দেখেন, বদ্ধ গোডাউন থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। ফলে ঘটনাটি নজরে আসে সবার। ঠিক তখনই এলাকার মানুষ পুলিশকে খবর দেন। 




পুলিশ এসে দমকলে খবর দেয়। দমকলের দুটি ইঞ্জিন এসে ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় আগুন নেভায়। পুলিশ গোটা বিষয়টি জানতে তদন্ত শুরু করেছে। প্রশান্ত শীলকে গ্রেফতারের জন্য তল্লাশিও চলছে। আউশগ্রামের পুলিশ জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা শুরু করেছে বাড়ি ছাড়া ভূঁয়েড়া গ্রামের এই প্রশান্ত শীলের বিরুদ্ধে। যদিও এবিষয়ে ফোনে জিজ্ঞেস করা হলে, কোনো রকম কথা বলতে চায়নি অভিযুক্ত প্রশান্ত শীল।

স্থানীয়সুত্রে খবর, ভোটের ফল গণনার পরদিন থেকেই বাড়ি ছাড়া অভিযুক্ত এই সাঁটুল শীল।

এবিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে আউশগ্রাম ২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরি সভাপতি সেখ আব্দুল লালন বলেন, "পার্টির বিরুদ্ধে গুপ্ত ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ও দলবিরোধী কাজের জন্য তাকে অনেক আগেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারপর থেকেই বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক রেখে একাধিক ষড়যন্ত্র চালায়। পরিকল্পনায় ছিল বিজেপি জিতলে হামলা করার। এই বিষয়ে পুলিশ যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে। আমরা কিছু বলবো না। আইন আইনের পথে চলবে।"