প্রবল বর্ষণে ক্ষয়-ক্ষতি সরেজমিনে পরিদর্শন
অতনু হাজরা, জামালপুর : গতকালই রাজ্যের উপর দিয়ে বয়ে গেছে বিধ্বংসী ঘূর্ণি ঝড় যশ।তছনছ করে দিয়েছে উপকূলবর্তী কয়েকটি জেলাকে। পূর্ব বর্ধমানে সেভাবে ক্ষয় ক্ষতি না হলেও প্রবল বর্ষণে মাটির বাড়ি গুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই সব ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি গুলি সরেজমিনে দেখতে বের হলেন জামালপুর ব্লক প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। আজ জামালপুরের বিধায়ক অলক কুমার মাঝি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান, বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ভুতনাথ মালিক ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েতের গ্রামে গ্রামে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি ঘর নিজেদের চোখে দেখেন। আজ তাঁরা যান পাঁচড়া পঞ্চায়েতের সারাংপুর গ্রামে ও আঝাপুর পঞ্চায়েতের মসাগ্রাম স্টেশন সংলগ্ন অঞ্চলে। তাঁদের সাথে উপস্থিত ছিলেন পাঁচড়া পঞ্চায়েতের প্রধান লালু হেমব্রম, উপ প্রধান বিকাশ পাকরে, পঞ্চায়েত সদস্য জয়দেব দাস ও বিশিষ্ট সমাজসেবী ডাঃ প্রতাপ রক্ষিত। তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি মাটির বাড়ি নিজেরা সরেজমিনে দেখেন।
তাৎক্ষণিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মাটির বাড়ি গুলির পরিবারের হাতে ত্রিপল তুলে দেন যাতে ঘরে জল পড়াটা আটকানো যায়। বিধায়ক, বিডিও এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সকলেই বলেন ক্ষতিগ্রস্ত মাটির বাড়িগুলিতে যাতে বাংলা আবাস যোজনায় ঘর দেওয়া যায় সেটা তাঁরা দেখবেন। এছাড়াও আজ তাঁরা তাদের যাবার পথে প্রবল বৃষ্টিতে মাঠের ফসল (তিল) যে ব্যাপক ভাবে ক্ষতি এবং এই বিষয়ে সহ কৃষি অধিকর্তার অফিসে গিয়ে তাঁকে রিপোর্টও করেন। সহ কৃষি অধিকর্তা সনজিবুল ইসলাম জানান তিনি তিল চাষের ব্যাপক ক্ষতি নিয়ে জেলায় রিপোর্ট করেছেন। তিনি জানান, প্রায় ৫৫০০ হেক্টর জমির তিল নষ্ট হয়ে গেছে। এইভাবে প্রশাসনের আধিকারিকরদের ও বিধায়ককে সামনে পেয়ে খুশি গ্রামের মানুষরা।