স্কুল ছুটি থাকলেও বিরাম নেই করোনা যোদ্ধা শিক্ষক শ্যামল জানার
ইমতিয়াজ আলি : করোনা অতিমারীর তান্ডবে তালা পড়েছে বিদ্যালয়ে। দীর্ঘদিন বন্ধ পঠন পাঠন।ঘরবন্দি শিক্ষক থেকে ছাত্রছাত্রী সকলেই। তবে এসবের মাঝেও সম্পূর্ণ ব্যাতিক্রমী ভূমিকায় দেখা গেল কাঁথির কুলাই পদিমা নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্যামল জানাকে। করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবায় তিনি ওষুধ ও খাবার কিনে পৌঁছে দিচ্ছেন বাড়ি বাড়ি। এর আগেও বিভিন্ন সমাজিক সেবামূলক কাজে তিনি নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। মাঝে করোনা আক্রান্ত হয়ে কিছুদিন বিশ্রামের পর ফের পুনঃরোদ্যোমে সমাজ সেবায় নেমে পড়েন। জানা গেছে, শ্যামলবাবু এর আগে অসহায় শিশুদের খাদ্য বিতরণ, পোশাক ও পড়ার সরঞ্জাম দিয়ে যথাসাধ্য সাহায্য করেছেন। এমনকি নিঃসম্বল বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের খাদ্য ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে দিয়ে সাহায্য করেছেন। জরুরী প্রয়োজনে রক্তদান করেও তিনি মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ফোন নাম্বার দিয়ে রেখেছেন শ্যামল বাবু। সাহায্যের জন্য যে কেউ যোগাযোগ করলেই তিনি পৌঁছে যান। একাজে তাকে সাহায্য করেন তাঁর সহধর্মিণী মনিকা জানা।পরিবেশ সম্পর্কেও বেশ সচেতন মাস্টার মশাই।সময় পেলেই কাঁথি সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের তীরে গিয়ে বর্জ্য পরিষ্কারের কাজে লেগে যান। প্রকৃত এই সমাজ বন্ধুকে পেয়ে এলাকার মানুষ যথেষ্ট খুশি। করোনা কালেও নিরন্তর সেবামূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখায় কাঁথি পুলিশ প্রশাসন শ্যামলবাবুকে কোভিড যোদ্ধা সম্মানে ভূষিত করেন। কাজ না করেও বেতন নেওয়ার জন্য শিক্ষক সমাজের প্রতি সমাজের একাংশ তোপ দাগতে শুরু করেছেন। এক্ষেত্রে শ্যামল বাবু এক ভিন্ন দৃষ্টান্ত তৈরি করে নজির গড়েছেন।