তৃণমূল মন্ত্রীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ রাজ্যজুড়ে
অতনু হাজরা, জামালপুর : আজ সকালেই নারদ কাণ্ডে নিজাম প্যালেসে নিয়ে গিয়ে আটক ও পরে গ্রেপ্তার করা হয় তৃণমুলের তিন বিধায়ককে যার মধ্যে দুজন আবার রাজ্য সরকারের মন্ত্রী। এঁরা হলেন ফিরাদ হাকিম ও সুব্রত মুখার্জী এবং বিধায়ক মদন মিত্র। এছাড়াও গ্রেপ্তার করা হয় শোভন চট্টোপাধ্যায় কেও। ইতিমধ্যেই নিজাম প্যালেসে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মেহেমুদ খানের নেতৃত্বে গুহ মার্কেটের সামনে চকদিঘী-তারকেশ্বর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক অলক কুমার মাঝি, ব্লকের যুব সভাপতি ভুতনাথ মালিক, জয় হিন্দ বাহিনীর সভাপতি সাহাবুদ্দিন মন্ডল, তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা নেত্রী মিঠু মাঝি সহ অন্যান্য নেতৃত্ব ও কর্মী সমর্থকেরা। মেহেমুদ খান জানান, "ব্যাপক জনাদেশ নিয়ে এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে। সেটা সহ্য হচ্ছে না বিজেপির, তাই নানা চক্রান্ত করা হচ্ছে যাতে রাজ্যে একটা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করা যায়।কোনো রকম নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে আজ তিন জন বিধায়ক তথা মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হলো। কেন্দ্র সরকারের এই জঘন্য নীতিকে কার্যকর করতে চাইছেন রাজ্যপাল।"
বিধায়ক অলক কুমার মাঝি বলেন, "রাজ্য জুড়ে একটা অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি করতে চাইছে বিজেপি। তাই তারা নানা ধরণের চক্রান্ত করছে।যেখানে দেশে অক্সিজেন সঙ্কট, ভ্যাকসিনের যোগান নেই, সেগুলো না দেখে এই করোনা পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গকে অশান্ত করতে চাইছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে সেটা কখনোই সম্ভব নয়। বিজেপির এই মনোবাসনা পূরণ হবে না। মমতা ব্যানার্জী তা হতে দেবেন না।" বিক্ষোভ শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের কুশপুতুল দাহ করা হয়।