Scrooling

উচ্চ মাধ্যমিকের পর নিটেও রাজ্যে প্রথম বর্ধমানের রূপায়ণ পাল। # উচ্চমাধ্যমিক ২০২৫ প্রথম দশে ৭২ জন। প্রথম হয়েছে রূপায়ন পাল। রূপায়ন বর্ধমান সিএমএস হাইস্কুলের ছাত্র। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৭ ( ৯৯.৪ শতাংশ) # ২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যে প্রথম রায়গঞ্জের করোনেশন হাইস্কুলের অদৃত সরকার। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৬ নম্বর # ষষ্ঠ সিন্ধু জিব্রাল্টার জয় করে ইতিহাসের পাতায় সায়নী # বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় # 'দাদাসাহেব ফালকে' সম্মানে ভূষিত হলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী

ঈদের উপহার দাতা লালনের, আউশগ্রাম জুড়ে খুশির হাওয়া


 

ঈদের উপহার দাতা লালনের, আউশগ্রাম জুড়ে খুশির হাওয়া


রাধামাধব মণ্ডল, আউশগ্রাম : করোনা কালের সঙ্কট মুহূর্তে ফের আউশগ্রামের ব্যবসায়ীর মানবিক মুখ দেখলো জনসাধারণ। সম্ভাব্য ১৩ মে-র ঈদের আগে মঙ্গলবার ১২০০ পরিবারের পাশে এসে এম ডি পরিবারের কর্ণধার সেখ আব্দুল লালন ওরফে দাতা লালন। 

স্থানীয়সুত্রে জানা যায়, এই কোম্পানিতে কর্মরতরা ছাড়াও গ্রামের ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মানুষজন গেঁড়াই গ্রামের নূরমহলের সামনে কোভিড বিধি মেনে, ঈদের খাদ্যসামগ্রী ও বস্ত্র নিয়ে যায়। মহামারির এই সঙ্কট কালে প্রত্যকের মুখে হাসি ফুটিয়ে এক অনন্য নজির গড়লেন এই ব্যবসায়ী। এবং আরও জানা যায় যে এরমধ্যে প্রায় চারশো জন অমুসলিম পরিবারকেও সাহায্য করা হয়েছে। যা এই মুহূর্তে সম্প্রীতির বিরল নজির। এবিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, "আমরা প্রত্যেক বছর একাজ করে থাকি, আপনি যেটা সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতির বিষয়ে প্রশ্ন করলেন আমার নাম 'লালন'। আর ফকির লালন বলেছেন, ' সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে', আমি ফকিরের এই কথাটা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে চেষ্টা করি। আগে আমি মসজিদের পাশাপাশি বহু মন্দিরও প্রতিষ্ঠা করেছি। সেখানে মানুষই আমার প্রথম অগ্রাধিকার। আর প্রতিদিনই এই কর্মযজ্ঞ চলে। মহামারির এই সময়েও আমাদের অ্যাম্বুলেন্স ও অক্সিজেন সিলিণ্ডার মানুষের জন্য দেওয়া রয়েছে।" মঙ্গলবার প্রায় ১২০০ পরিবারের কাছে তিনি তার দান সামগ্রি পৌঁছে দেন। 

এর আগেও পূর্ব বর্ধমানের এই ব্যবসায়ীর বহু কাজ মানুষের নজরে এসেছে। তিনি ভোট পরবর্তী হিংসায় বাড়ি ছাড়া আউশগ্রামের জঙ্গলমহলের দেবশালার কাঁকড়া গ্রামে ২১ টি বিজেপি সমর্থিত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। রোজগারহীন পরিবার গুলোকে খাবার এবং ভাঙাচোরা বাড়ি গুলোকে পুনঃনির্মাণ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।

গত বছরের দীর্ঘ লকডাউনেও তিনি প্রায় ১৮০০ পরিবারকে খাদ্য সামগ্রি পৌঁছে দেন। প্রাণচঞ্চল এই কর্মযোগী মানুষটার পাশে এসে দাঁড়ায় তাঁর দুই সুযোগ্য পুত্রও।

মঙ্গলবারের দানে বেশ কয়েকজন মৌলানার সঙ্গে সঙ্গে হিন্দু ধর্মাবলম্বী কয়েকজন পুরোহিতকেও খাদ্যসামগ্রী ও নতুন বস্ত্র তুলে দেওয়া হয়। লাচ্চা, সিমাই, সুজির পাশাপাশি আমূল, নারকেল ও পারিবারিক নতুন বস্ত্রও তুলে দেওয়া হয়। ঘণ্টা চারেক তিনি নিজেই উপস্থিত থেকে, নিজের হাতে মানুষের মধ্যে এগুলি বিতরণ করেন। স্বাভাবিক ভাবে ঈদের আগে এমন উপহার পেয়ে খুশির হাওয়া আউশগ্রাম জুড়ে।