Scrooling

উচ্চ মাধ্যমিকের পর নিটেও রাজ্যে প্রথম বর্ধমানের রূপায়ণ পাল। # উচ্চমাধ্যমিক ২০২৫ প্রথম দশে ৭২ জন। প্রথম হয়েছে রূপায়ন পাল। রূপায়ন বর্ধমান সিএমএস হাইস্কুলের ছাত্র। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৭ ( ৯৯.৪ শতাংশ) # ২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যে প্রথম রায়গঞ্জের করোনেশন হাইস্কুলের অদৃত সরকার। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৬ নম্বর # ষষ্ঠ সিন্ধু জিব্রাল্টার জয় করে ইতিহাসের পাতায় সায়নী # বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় # 'দাদাসাহেব ফালকে' সম্মানে ভূষিত হলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী

৪৩ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এই প্রথম নির্বাচনী ময়দানের বাইরে


 

৪৩ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এই প্রথম নির্বাচনী ময়দানের বাইরে


ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : ৪৩ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এই প্রথম নির্বাচনী ময়দানের বাইরে রয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সদস্য তথা পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রাক্তন কার্যকরী সভাপতি কাশীনাথ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে কোনো শারীরিক সমস্যা নয়, দলের প্রতি অভিমান নিয়ে নিজে থেকেই সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। কাশীনাথ গঙ্গোপাধ্যায় দলের প্রতি একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, "বর্তমানে প্রদেশ কংগ্রেস ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ থেকে সরে এসেছে। সাম্প্রদায়িক আইএসএফ দলের সাথে হাত মিলিয়েছে। বামেদের কাছে পূর্ব বর্ধমান জেলায় আত্মসমর্পণ করেছে। এই অবস্থায় আর সক্রিয়ভাবে কংগ্রেস দলটা করছি না। তবে কংগ্রেস দলের একজন সমর্থক হয়ে রইলাম। বিধানসভা নির্বাচনের পর আবার সিদ্ধান্ত নেব"। তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে সবিনয়ে বলেন, কেউ আমাকে ভুল বুঝবেন না আমি আপনাদের মতই অনেক দুঃখ, যন্ত্রণা নিয়ে অত্যন্ত দুঃসময় থেকে দায়িত্ব নিয়ে কংগ্রেস দলটা করে এসেছি। কিন্তু এবারে বিধানসভা নির্বাচনে যেভাবে সাম্প্রদায়িক দল আই এস এফ এর সাথে জোটবদ্ধ হয়েছে তাতে কংগ্রেস দলের নিরপেক্ষতার ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। তিনি সাঁই বাড়ির নৃশংস ঘটনা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, সিপিএম দলের কাছে আত্মসমর্পণ করে সিট ভাগাভাগি করে ভোটে দাঁড়ানোর ফলে কংগ্রেস দলের লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হবে। দল সমীক্ষা করলেই জানতে পারবে এরকমই অভিমত নিচুতলার প্রায় সমস্ত কর্মীদেরই। যে সমস্ত কর্মীরা দুর্দিনে দলটা করে এসেছেন তারা কেউই মনে প্রাণে এই পরিস্থিতি মেনে নিতে পারছেন না। কাশীনাথ গঙ্গোপাধ্যায় আরো বলেন, গত ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর বামেদের সঙ্গে হাঁটার জন্য তার বাড়িতে হামলা হয়েছিল। তার পরিবারকে চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাতে হয়। সবার সাথে ভালো ব্যবহার থাকার সুবাদে সেই পরিস্থিতি সামলে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন। এবারও বামেদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয়েছে। নিচতলায় কোনরকম আলোচনা ছাড়া এই দল এরকম সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই অবস্থায় নির্বাচনী ময়দানে নেমে কাজ করা তার পক্ষে অসম্ভব। তাই তিনি সক্রিয় রাজনীতির ময়দান থেকে দূরে থাকছেন। তার এই সিদ্ধান্ত জানাজানি হতেই রাজনৈতিক মহলে রীতিমতো আলোড়ন ছড়িয়েছে।