চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

"ওরা কথা রাখে না; দিদি, কথা দিয়ে কথা রাখে", আউশগ্রামের জনসভায় বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।


 

"ওরা কথা রাখে না; দিদি, কথা দিয়ে কথা রাখে", আউশগ্রামের জনসভায় বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।


 🟣  রাধামাধব মণ্ডল, আউশগ্রাম 


➡️  পরিষ্কার শুদ্ধ উচ্চারণে, বাংলা ও বাঙালির তর্জাকে তুলে ধরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র আক্রমণে বিদ্ধ করলেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। আউশগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অভেদানন্দ থান্দারের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে এসেছিলেন আউশগ্রামের মাঠে। সেখান থেকেই তিনি বলেন, বাংলা ও বাঙালির অস্তিত্বের লড়াই এই নির্বাচন। সোমবারের এই সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, নির্বাচনী সভায় বছরে দু'কোটি বেকারকে চাকরি দেবে বলেছিল বিজেপি সরকার। দিয়েছে ? বলেছিল কালো টাকা ধ্বংস করবো। ফিরিয়ে এনে দেবে, গরীবের অ্যাকাউন্টে। দিয়েছে ? তিনি আরও বলেন, আমাদের দিদি বলেছিল, বাংলার মেয়ে, ২ টাকায় ১ কেজি চাল দেবে, দিয়েছিল ? দিচ্ছে। কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকে গেছে। কেউ বলতে পারবে বিজেপি করে, সিপিএম করে, সেই বন্ধুরা খাদ্যস্বাথী, স্বাস্থ্যসাথী পাননি ? সবাই পেয়েছেন। না পেলেও বলবেন, আমি করে দেব, ভোটের পর। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডটি বাড়ির প্রবীণদের নামে করতে পারতো দিদি, যুবকদের নামেও করতে পারতো। করেনি, করেছে বাড়ির মহিলার নামে। আপনার বাপের বাড়ি, শ্বশুর বাড়ির সকলকেই কার্ডের আওতায় আনতে পারবেন। এই জন্যই মায়েদের নামে করেছেন, দিদি।




এরা বাংলার সংস্কৃতি জানে না। এরা রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থান জানে না। এরা একটা মহিলাকে হারাবে বলে, ডেলিপ্যাসেঞ্জারি শুরু করেছে বাংলায়। এই বলে তিনি নিজেদের সরকারের নানা উন্নয়ণের ক্ষতিয়ান আউশগ্রামের সভা থেকে তুলে ধরেন।




 অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, আমি সারা বাংলা ঘুরেছি। তৃতীয় বারের জন্য বাংলার মানুষ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই মুখ্যমন্ত্রী করবে। এরা বাংলায় বলছে শিল্প আনবে। আর ভারতবর্ষের শিল্প গুলোকেই এরা বেচে দিচ্ছে। পা ভেঙেছে। আর সেই ভাঙা পায়েই খেলা হবে। ওরা বলেছিল, আচ্ছে দিন। পেট্রোল, কেরোসিনের কি দাম আজ। গ্যাসের কি দাম। ৪০০ টাকার গ্যাস, ৯০০ টাকায় কিনছেন। পেঁয়াজ, তেল, কি দামে কিনছেন ? আর যে চালটা হাঁড়িতে ফুটছে সেটার কেজি ২ টাকা, ওটা দিদি দেয়। এরা ভোটের সময় আসে। সারা বছর আর আসবে না। লকডাউনের সময়, দিদি বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দিয়েছে। রাস্তায় নেমে মাস্ক বিলি করেছে করোনা কালে। নতুন সরকার হলে দিদি বলেছে, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড চালু করবে। দিদি যা বলে করে তো ? দশ লক্ষ টাকা পড়াশোনার জন্য দেবে কার্ডে। দিদি আরও বলেছে বাড়ির মহিলাদের পাঁচশো করে টাকা দেবে। শুধুতাই নয়, এসটি-এসসি পরিবারের মহিলাদের এক হাজার টাকা করে দেবে দিদি। দিদি থাকলে, বিনা পয়সায় বাড়ি বাড়ি রেশন দেবে। আর না থাকলে, বিনা পয়সায় ভাষণ দেবে ওরা। তাহলে কি করবেন। কাকে ভোট দেবেন ?




আপনি, দশ বছরের কাজের হিসাব নিন, আর জোড়া ফুলে ভোট দিন। কেউ বলতে পারবেন, কেউ ১৫ লক্ষ টাকা পেয়েছেন ? আজ দশ কোটি মানুষ স্বাস্থ্যসাথীর আওতায়। শুধু জুংলাবাজী নয়, এই বলে এদিনের আউশগ্রামের নির্বাচনী সভা থেকে নাম না করে, কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ করেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন, ২ তারিখে সরকার তৈরি হলে, শুধু উন্নয়ণ হবে। মানুষের কাজ হবে। ২২ তারিখে আপনারা লাইনে দাঁড়িয়ে, রোদে দাঁড়িয়ে ভোট দেবেন, ১ নম্বরে অভেদানন্দ থান্দারকে এক নম্বর করতে। আর ২ তারিখের পর আপনার দুয়ারে দুয়ারে সরকার, রেশনব্যবস্থা নিয়ে যাবে। আর লাইনে দাঁড়াতে হবে না।