চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

অবশেষে টনক নড়েছে


 

অবশেষে টনক নড়েছে


ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : অবশেষে টনক নড়লো নির্বাচন কমিশনের। আজই ভারতের নির্বাচন কমিশনের তরফে সিনিয়র পিআর সেক্রেটারি সুমিত মুখার্জী পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, তামিলনাড়ু, কেরালা এবং পন্ডিচেরির রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে এক চিঠিতে জানিয়েছেন গণনা শেষে বিজয় মিছিল অনুমতিযোগ্য হবে না। চিঠিটি সময়োপযোগী হলেও বাস্তবিক ক্ষেত্রে হাস্যস্পদ বলেই মনে করছেন সাধারণ নাগরিকরা। পশ্চিমবঙ্গ সহ অন্যান্য রাজ্যে করোনা অতিমারি ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ার জন্য তাঁরা সরাসরি নির্বাচন কমিশনের দিকেই আঙ্গুল তুলেছেন। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে আট দফা ভোটের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের পথ প্রসস্থ করেছে নির্বাচন কমিশন। নাগরিকদের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও সমস্বরে কমিশনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণের ব্যাপকতার দায় নির্বাচন কমিশনের উপরেই বর্তাবে। রাজ্যের নাগরিকদের সুরক্ষার দায় নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে। অসংখ্য মিছিল, মিটিং, রোডশো, বিপুল জনসমাবেশ, বিভিন্ন রাজ্যের নেতা-নেত্রীদের আনাগোনা সবমিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গবাসীকে বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। যখন গোটা রাজ্যের মানুষ করোনা আতঙ্কে অজানা আশঙ্কায় ভয়ে কুঁকড়ে যাচ্ছেন। বরিষ্ঠ নাগরিকদের করোনার ভ্যাকসিন নিতে রাত দুটো থেকে লাইন দিতে হচ্ছে। হাসপাতালের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন রোগীর আত্মীয় পরিজন। অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়তে দেখছেন আত্মজনকে। স্বজন হারানোর কান্নায় পরিবেশ থমথমে হয়ে উঠছে। অথচ হেলদোল নেই কমিশনের কর্তাদের। নাগরিকরা বলছেন, মাদ্রাজ হাইকোর্টের বার্তার পরেই ভয় পেয়ে নির্বাচন কমিশন নড়েচড়ে বসেছে। সব কিছু হয়ে যাবার এখন আদালতের ভয়ে বিজয় মিছিলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তাই রাজ্যবাসীর কাছে নির্বাচন কমিশনকে জবাবদিহি করতে হবে। এমনটাই বলছেন সচেতন নাগরিকরা।