চৈতন্য মহাপ্রভু'র নামে নব নির্মিত তোরণ উদ্বোধন কাটোয়ার দাঁইহাটে

হালকা রক্ত ঝরলেও ষষ্ঠ দফা ভোট মোটের উপর শান্তিপূর্ণ


 

হালকা রক্ত ঝরলেও ষষ্ঠ দফা ভোট মোটের উপর শান্তিপূর্ণ 




ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্ট, সংবাদ প্রভাতী : পূর্ব বর্ধমান জেলায় দু'একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ষষ্ঠ দফা ভোট গ্রহণ পর্ব মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ভাবেই শেষ হয়েছে। বেশ কিছু বুথে ইভিএম ত্রুটির খবর মিলেছে। সকাল থেকেই বিভিন্ন বুথে ভোট দেওয়ার জন্য লম্বা লাইন লক্ষ্য করা গেছে। সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। এরই মাঝে মঙ্গলকোটের বার গ্রামে গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর তৃণমূলের বুথ সভাপতি জগন্নাথ মন্ডলকে জমিতে ফেলে মারধর করা হয়। মাথা ফেটে রক্ত ঝরতে থাকে। কিছুক্ষণের জন্য ভোট প্রক্রিয়া বন্ধ থাকলেও পরে স্বাভাবিক হয়।




রাজ্যের মন্ত্রী তথা পূর্বস্থলি দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী স্বপন দেবনাথ করোনা পরিস্থিতিতে আট দফা ভোট নিয়ে তীব্র বিষোদগার করেছেন। বিজেপি কর্মীরা কপালে গেরুয়া তিলক কেটে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করছিল। অভিযোগ জানাতেই বন্ধ হয়। পূর্বস্থলি দক্ষিণের দোলগোবিন্দপুরে ৩৫ নম্বর বুথে মকপোলের সময় থার্ড পোলিং অফিসার জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেওয়া কে কেন্দ্র করে আলোড়ন ছড়ায়। পরে ওই পোলিং অফিসার কে সরিয়ে দেয়। বেশ কিছু বুথে ইভিএম গোলযোগে ভোট গ্রহন সাময়িক বিঘ্নিত হয়েছে। অনেক জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর অতি সক্রিয়তা লক্ষ্য করা গেছে। এসব বিজেপি'র চক্রান্ত, তবে এখানে এভাবে সুবিধা করতে পারবে না। মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকেই ভোট দিচ্ছে।




পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তপন চ্যাটার্জী জানান, দু একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং ভোটের শুরুতে ইভিএম মেশিনের কিছু ত্রুটি ছাড়া তার কেন্দ্রে ভোট খুব শান্তিপূর্ণভাবেই চলেছে। তিনি সারাবছর এলাকার মানুষের পাশে থাকেন তাই তার বিধানসভার মানুষ তাকেই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে বলেই তিনি আশাবাদী। 




কাটোয়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুললেন তৃণমূল কংগ্রেস রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। এদিন তিনি জানান, ২০৪ নং বুথের তৃণমূল এজেন্টকে অযথা মারধর করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। অশোক ঘোষ নামে আহত ওই এজেন্টকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পলসোনা অঞ্চলের মহিলা গ্রাম প্রধানকেও নিজের বুথ থেকে লাথি মেরে বার করে দেওয়া হয়। তাছাড়া, গঙ্গার ওপারে অগ্রদ্বীপে যে আটটি বুথ আছে সেখানে বিজেপির জেলাসভাপতির নেতৃত্বে বাইক মিছিল করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেছে। এমনকি গঙ্গার খেয়া বন্ধ করে রাখায় সেখানে পৌঁছানো যাচ্ছে না।



দীর্ঘক্ষন বুথে বসে ভোট করানোর অভিযোগ কংগ্রেস প্রার্থী প্রবীর গাঙ্গলীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি কাটোয়া বিধানসভার শ্রীবাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৭৪ ও ২৭৫ নম্বর বুথে। ২৭৪ নম্বর বুথের তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্ট আব্বাস উদ্দিন মল্লিক এমনটাই জানান।




এদিকে জাতীয় কংগ্রেসের পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি তথা কাটোয়া বিধানসভা কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী প্রবীর গাঙ্গুলী বলেন, তৃণমূল মিথ্যা অভিযোগ করেছে। কংগ্রেসের এজেন্ট বসা নিয়ে সমস্যা তৈরি করে ওরা। এজেন্ট বসানোর জন্যই তিনি বুথে গিয়েছিলেন। ফের যাতে কোনো সমস্যা না হয় এবং এজেন্টকে সাহস জোগাতে কিছু সময় বুথের বাইরে ছিলেন। প্রবীরবাবুর আরও অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা বুথের দুশো মিটারের আগে প্রভাবিত করছিল। না শুনলে অজুহাত দেখিয়ে ভোটারদের বুথের পথে থেকে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছিল। আপত্তি জানাতেই ওরা মিথ্যা অভিযোগ তোলে।




তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক শান্তনু কোনার জানিয়েছেন, ভাতার বিধানসভায় সারাদিন ধরেই শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। যা এক কথায় ইতিহাস। তবে এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী বুথের দুশো মিটারের বাইরে অযথা বাড়াবাড়ি করেছে। দু-একটি বুথ এলাকায় পুলিশ তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের মারধর করেছে। বিনা কারণে আটক করে। তবুও এখানে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মানগোবিন্দ অধিকারী বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে।




কর্মী সমর্থক ও ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে মাথা ফাটা অবস্থায় যখন তিনি বনগ্রাম স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসার জন্য আসছিলেন সেই সময় তার গাড়ি আটকে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা ফের হামলা চালায় বলে অভিযোগ।