Scrooling

উচ্চমাধ্যমিক ২০২৫ প্রথম দশে ৭২ জন। প্রথম হয়েছে রূপায়ন পাল। রূপায়ন বর্ধমান সিএমএস হাইস্কুলের ছাত্র। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৭ ( ৯৯.৪ শতাংশ) # ২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যে প্রথম রায়গঞ্জের করোনেশন হাইস্কুলের অদৃত সরকার। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৬ নম্বর # ষষ্ঠ সিন্ধু জিব্রাল্টার জয় করে ইতিহাসের পাতায় সায়নী # বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় # সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ২৫ হাজার ৭৫২ জন শিক্ষকের চাকরি গেল # আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বিজয়ী ভারত, নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে তৃতীয় বারের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হল ভারত # প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রীর শোকজ্ঞাপন # বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভার সাংসদ হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় # 'দাদাসাহেব ফালকে' সম্মানে ভূষিত হলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী

বাংলার নির্বাচনে বিভিন্ন সংস্কৃতির হিড়িকে "টুম্পা সোনাই" এগিয়ে


 

বাংলার নির্বাচনে বিভিন্ন সংস্কৃতির হিড়িকে "টুম্পা সোনাই" এগিয়ে


 🟣 রাধামাধব মণ্ডল 


➡️ এবার ভোটের সংস্কৃতিতে "টুম্পা"র হিড়িক! টুম্পাই তাহলে জয় করে আনবে, সিট! ৭% কে শুধু নয়, ৩৯%, ৪৩% কে ভরসা জুগিয়েছে গান! আর সত্যিই টুম্পা রাজত্ব জেতাবে কি না, জানা যাবে, ২ রা মে-র পর। তবে টুম্পা যে তরুণ বামপন্থাকে নতুন ভাবে উৎজীবিত করেছে, সে নিয়ে কোনো বিতর্কই নেই! নামিয়েছে পথেও। নির্বাচনের আগেই মোটামুটি ভাবে টুম্পা জায়গা করে নিয়েছে গণতন্ত্রের উৎসবে। মিডিয়াতেও টুম্পা এগিয়ে! ২০২১ নির্বাচনে সংস্কৃতিকেই ভরসা করে, লড়াইএ নেমেছে সমস্ত দল! সত্যিই মনে হচ্ছে, এ-যেন বাংলার নির্বাচন বটে। বাংলা সংস্কৃতির ব্যবহারে নির্বাচনের বৈতনী পার হয়েছে বছরের পর বছর বামপন্থীরা। সেই বামেরা এবারও টুম্পার লিড়িক বেঁধেছে ভোটের লড়াইএ। গান বেঁধেছে তৃণমূল, বিজেপিসহ নানান রাজনৈতিক ব্যক্তি, সংস্কৃতিক ব্যক্তিরাও নেমেছে ২১ শে-র ভোটের লড়াইএ। 

বাবুলের গান এখনও আসেনি ভোটবাজারে। তবে ভোটের বাদ্যি না বাজতে বাজতেই টুম্পা মাতানোর পাশাপাশি বাজারে এসেছে কবীর সুমনের গান। বাজারে এসেছে অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষের কথাভাষ্য। আসছে নানা অচেনা অজানা শিল্পীর গান। সেই সঙ্গে আসছে আভিধানিক সংস্কৃতির লড়াইএ বাংলার অস্মিতা, গৌরবের কথা। এরই মাঝেমাঝে বাংলার ভোটমঞ্চে আসতে শুরু করেছে চিরদিনের কুভাষ্য! 

হিড়িক চলছেই! কেবল দলবদলেছে! কেন্দ্রের প্রার্থী বদলায়নি বেশ কয়েকটি জায়গায়। সেই রবীন্দ্রনাথ, সেই রাজীব, সেই প্রবীর ; একই আছেন! কেবল ঘাসফুল থেকে তারা এখন জলফুল পদ্মের দলে! 

"বিশ্বাসঘাতক" শব্দটা এই নির্বাচনে খুব বেশি সামনে এসেছে। কিছু প্রচারের চমকও এনেছেন রাজনৈতিক কারবারিরা। অথচ বাংলার নির্বাচনে চিরদিনের অংশগ্রহণকারীরা এবার এখনও নিশ্চুপ! নেই তেমন দেওয়াল লিখন! আগের চাইতে কমেছে। আর সোশাল মিডিয়াতে প্রচারে বেড়েছে জোড়! মিটিং, মিছিলের লাইনে এখন আর তেমন ডাক পরে না বাংলার ঢাকি, ঢোল শিল্পীদের। কাজ নেই। পথনাটক শিল্পীরা, কুটকচালি শিল্পীরা, যাত্রাশিল্পীরা এবারও নেই গণতন্ত্রের উৎসবে! 

ফলে আদতে বাংলার চিরাচরিত সংস্কৃতির শিল্পীরা এবারও রয়েছে গণতন্ত্রের উৎসব থেকে দূরে! ফলে ভিড় বাড়ছে হিংসার ইঙ্গিতবহ তাৎপর্যের অরাজনৈতিক শ্লোগানের। 'খেলা হবে'!